ভারতে সরকারি এবং বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলিতে ঘুরে ঘুরে একটি তুলনামূলক গবেষণা করেছেন গবেষকরা। হাসপাতালে প্রতিটি ভর্তির ক্ষেত্রে সরকার এবং পরিবারকে একসঙ্গে মিলে কতটা খরচ করতে হয়, সেটার উপরেই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে হেলথ ইকোনমিকস রিভিউ জার্নাল।
সরকারি এবং বেসরকারি পরিষেবা প্রদানকারীদের মধ্যে একটা যুক্তিযুক্ত তুলনা করা হয়েছিল। তার জন্য এই দুই ক্ষেত্রের সরবরাহ এবং চাহিদার দিকটাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। এই গবেষণায় দুই ধরনের ডেটাসেট ব্যবহার করা হয়েছে। যথা- হসপিটাল ইউটিলাইজেশনের উপর পরিবারগত সমীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য, ওওপিই, রোগীদের দ্বারা প্রাপ্ত নগদ ইনসেন্টিভ এবং ক্লেম, যা বেসরকারি ক্ষেত্র দ্বারা চালিত স্বাস্থ্য বিমা (পিএফএইচআই) স্কিম সমীক্ষার আওতায় আসে।
advertisement
আরও পড়ুন: বিপদ আরও বাড়ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, ইডি-র এক সমনেই সমস্যা বাড়তে পারে কয়েক গুণ!
এর পর ওই সমীক্ষা থেকে আরও জানা গিয়েছে যে, সামগ্রিক ভাবে সরবরাহ সংক্রান্ত ব্যয় পুরো খরচের প্রায় ১৬ শতাংশ, পিএফএইচআই-এর মাধ্যমে চাহিদা সংক্রান্ত খরচ ১৬ শতাংশ পর্যন্ত, নগদ ইনসেন্টিভ ১ শতাংশ পর্যন্ত এবং ওওপিই ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত। সরকারি হাসপাতালে ভর্তির প্রতি ক্ষেত্রে মোট খরচের ৩১ শতাংশ গঠন করেছে ওওপিই। আর বেসরকারি হাসপাতালে সেই পরিমাণটা হল ৮৬ শতাংশ।
সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে এই তুলনামূলক সমীক্ষা চালানো হয়েছিল ছত্তিসগঢ়ে। এতে অংশগ্রহণ করেছিলেন আইআইটি যোধপুরের স্কুল অফ লিবারেল আর্টসের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডা. আলোক রঞ্জন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডা. সমীর গর্গ (প্রথম লেখক এবং একজিকিউটিভ ডিরেক্টর স্টেট হেলথ রিসোর্স সেন্টার বা এসএইচআরসি, ছত্তিসগঢ়), এসএইচআরসি-র সিনিয়র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর নারায়ণ ত্রিপাঠী এবং প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট কিরত্তি কুমার বিবর্তা। এই গবেষণার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে ডা. আলোক রঞ্জন বলেন, ভারতে বেসরকারি সেক্টরের তুলনায় সরকারি সেক্টরের হাসপাতালে রোগীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা অনেকটাই সাশ্রয়ী। তাই সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিনিয়োগ করা অত্যন্ত জরুরি।
স্টেট হেলথ রিসোর্স সেন্টারের সহযোগিতায় এই সমীক্ষাটি করা হয়েছিল। এটি আসলে একটি টেকনিক্যাল এজেন্সি, যারা মূলত ছত্তিসগঢ় রাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ-এর হয়ে কাজ করে। এই সাম্প্রতিক সমীক্ষাটি জানিয়েছে যে, বেসরকারি হাসপাতালে প্রতিটা ভর্তির ক্ষেত্রে যে ব্যয়টা হয়, তা সরকারি হাসপাতালের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি।