প্রসঙ্গত, ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির কার্যকারিনী সভায় বক্তব্য রাখছেন এক দলীয় নেতা। তিনি বলছেন, 'সংগঠকরা ঠিকমতো কাজ না করলে দুর্বল হবে সরকার। আর সরকার দুর্বল হলে দল দুর্বল হয়ে পড়বে।' যদিও দলের ভিতরকার বৈঠকের ভিডিও কীভাবে কুণাল পেলেন, তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কুণাল নিজেই জানিয়েছেন, টাটকা বৈঠকের ছবি দলের কর্মীরাই পাঠাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। আর এখানেই বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের আশঙ্কা মাথাচাড়া দিচ্ছে।
advertisement
প্রসঙ্গত, একদিনের ত্রিপুরা সফরে গিয়েই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, এবার অন্য লড়াই আগরতলাকে ঘিরে। সেই সূত্রেই গাড়িতে হামলার পরও তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, বারবার ত্রিপুরা আসবেন। তা যে শুধুই কথার কথা নয়, 'বদলে যাওয়া' তৃণমূলের কর্মসূচিতেই তা স্পষ্ট। বুথস্তরে সংগঠন পোক্ত করতে হবে বলে দলীয় নেতাদের বারবার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। আর ঠিক সেই পথেই তাঁর সেনাপতি হয়ে যেন ত্রিপুরার কাজ সামলাচ্ছেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
বুধবার ত্রিপুরায় পা রেখেই কুণাল ঘোষ দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ তথা ত্রিপুরার প্রবাদপ্রতিম বাম নেতা অজয় বিশ্বাসের সঙ্গে। কুণালের সঙ্গে বৈঠক সেরেই অজয় বাবু বলেন, 'সিপিএমকে যারা ভরসা করতেন, সেই কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, কর্মচারীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিজেদের বন্ধু ভাবছেন। পশ্চিমবঙ্গে এই কারণে সিপিএম শূন্যে নেমেছে। ত্রিপুরাতেও বামেদের পিছনে ফেলে বিজেপির মোকাবিলায় বিকল্প হিসেবে উঠে আসছে তৃণমূল। বাকিটা মানুষ বিচার করবেন।' এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের সঙ্গে জোট সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেননি ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও।
