আরও পড়ুন - ঘোষিত হল উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট, দেখে নিন বিস্তারিত
তিনি বললেন, "জাতীয় নির্বাচন কমিশন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের জন্য করোনা বিধি-নিষেধ হিসাবে যেগুলি ঘোষণা করেছে, সেই সমস্ত নিয়মকেই আমরা দলীয় ভাবে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে আমার মনে হয়, শুধু মাত্র ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নয়, একে বারে ৭ মার্চ পর্যন্তই এই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা থাকুক। আসলে, নির্বাচন কমিশন না হয় নিজের ইচ্ছামতো একটা দিন বা তারিখ ঠিক করলেন, তাতে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিকও হল। কিন্তু তার পর যদি ফের রাজনৈতিক দলগুলি বড় করে সভা-সমাবেশ করতে শুরু করে, তাহলে তো ফের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে, তাই না?"
advertisement
আরও পড়ুন - পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কোভিড নিয়ে কড়া কমিশন, ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মিছিল, রোড শো-এ নিষেধাজ্ঞা
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন আট দফা করা নিয়ে প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের বিরোধিতা করে এসেছে। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে শেষ তিন দফা একসঙ্গে করারও কথা বলেছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু তা হয়নি। সেই প্রসঙ্গ টেনে সুখেন্দুশেখর বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে যখন গত বিধানসভা নির্বাচনের শেষ তিন দফা বাকি ছিল, সেগুলিকে একসঙ্গে করে দিয়ে এক দফার ভোট শেষ করার জন্য আমরা বলেছিলাম। আমাদের সেই অনুরোধ নির্বাচন কমিশন রাখেনি। কিন্তু বাংলার মানুষ এর জবাব দিয়েছে। আমরা মনে করি, এ রাজ্যের মানুষ যেমন জবাব দিয়েছেন, তেমনই অন্য রাজ্যের মানুষও জবাব দেবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী পাঁচ রাজ্যের মানুষ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দেবেন এবং সত্যনিষ্ঠার পক্ষে ভোট দেবেন, জুমলা বাজি পক্ষে নয়। তাঁরা গোয়াতে দুর্নীতিগ্রস্থ বিজেপি সরকারকে পরাস্ত করবেন। গোয়াতে আমাদের দল খুবই ভাল ফল করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কল্যাণমূলক কর্মসূচির প্রচার আমরা ওখানে করতে পেরেছি, তাই আমরা আশাবাদী।"
Abir Ghosal