অপরদিকে, আমবাসা পুর-পরিষদের একটি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। সেখানে আবার দুটি আসনে বিজেপি-র কাছে তৃণমূলের হারের ব্যবধান ৯ ও ২৫। আগরতলাতেও বহু আসনে হাজারেরও কম ভোটে হেরেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। ফলে মাত্র দু-আড়াই মাসের মধ্যে সংগঠনকে এভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে তুলে ধরাকেই আপাতত তৃণমূলের সাফল্য বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
আরও পড়ুন: CPIM-র আগে তৃণমূল, ত্রিপুরা পুরভোটের প্রাথমিক ফলে জাঁকিয়ে বসছে ঘাসফুল
advertisement
অপরদিকে, খোয়াই পুর পরিষদের ১৫টি আসনের সবক’টিতেই জিতেছে বিজেপি। ৭টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তারা। আবার, বিলোনিয়া পুর পরিষদেও সবক’টি আসনে জয়ী বিজেপি। এই পুর পরিষদে ১৬টি আসন রয়েছে। একইভাবে, সাব্রুম নগর পঞ্চায়েতেরও ৯টি আসনের মধ্যে সবক’টিতেই জয়ী হয়েছে গেরুয়া শিবির।
যদিও তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''এখান থেকে লোক নিয়ে গিয়ে জেতা যায় না। তৃণমূল একটাও আসন পাবে বলে মনে হয় না। যেখানে BJP প্রার্থী দেয়নি, একমাত্র সেখানেই ওরা জিততে পারে একটা।''
আরও পড়ুন: 'কলকাতার প্রতি আলাদা ভালোবাসা'! তবে কি? বাবুল সুপ্রিয়র এক মন্তব্যেই ফের তোলপাড়
যদিও দিলীপ ঘোষকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ''দিলীপ দা আসলে ২০২৩-এর ভোটের জন্য ভয় পাচ্ছেন। গোটা বিজেপি-ই পাচ্ছে। কারণ মাত্র দু মাসের মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যেভাবে ত্রিপুরার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। তাতে বিজেপির ভয় বাড়ছে।''