নেই তেমন আর্থিক সঙ্গতি । দিনভর হাড়ভাঙা খাটুনির মধ্যে সম্বল বলতে ছিল পড়ার জেদ ও অধ্যাবসায়। শিক্ষক বলতে পাশে পেয়েছিলেন শুধু স্টেশনের ফ্রি ইন্টারনেটকে। মুন্নারের বাসিন্দা শ্রীনাথের সাফল্যের এই উপাখ্যান কঠোর অধ্যাবসায় ও পরিশ্রমের উদাহরণ। কেরলের এর্নাকুলাম স্টেশনে যাত্রীদের মালপত্র বয়ে নিয়ে যাওয়ার ফাঁকেই কানে ইয়ারফোন গুঁজে স্টেশনের ফ্রি ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করে চলত পরীক্ষা প্রস্তুতি। অনলাইন কোচিংয়ের সহায়তায় স্মার্টফোনেই চলত এই মালবাহক যুবকের অনুশীলন। সারাদিন ইযারফোনের সহায়তায় শোনা কোচিংয়ের পাঠ রাতে কাজ শেষে খাতায় কলমে ঝালিয়ে নিতেন তিনি । সবশেষে আধপেটা খেয়ে স্টেশন চত্বরেই ঘুম। সকালে উঠেই ফের কিছুক্ষণ অনুশীলনের পরই লেগে পড়তেন কুলির কাজে। গত কয়েক বছর ধরে এটাই ছিল শ্রীনাথের প্রতিদিনের রুটিন।
advertisement
পরীক্ষা প্রস্তুতি থেকে ফর্ম ফিলাপ, অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড থেকে সবইতেই স্টেশনের ফ্রি ওয়াইফাইয়ের সাহায্য নিয়েছেন শ্রীনাথ। তিনবারের চেষ্টার পর অবশেষে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছেছেন এই প্রতিভাবান যুবক। এর জন্য স্টেশনের ফ্রি নেট পরিষেবাকে ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি তিনি ।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচির ঘোষণার পর রেলস্টেশনে বিনামূল্যের ওয়াইফাই পরিষেবা দেওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশের ৬৮৫টি স্টেশনে বিনামূল্যে পাওয়া যায় ওয়াইফাই অর্থাত্ ফ্রি নেট পরিষেবা। সেই পরিষেবার সুবিধার উজ্জ্বল বিজ্ঞাপন হয়ে রইল শ্রীনাথের এই কৃতিত্ব।
