কয়লা উত্তোলনকারী সংস্থা ইসিএলের জনৈক আধিকারিককে কয়লা পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিজেপি নেতাদের নাম বলতে চাপ সৃষ্টি করে সিআইডি তদন্তকারীরা বলেও দাবি করে শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন, '‘কয়লা উত্তোলনকারী ওই সংস্থার আধিকারিক সিআইডি-র জেরায় ভাইপো ( অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) এবং তাঁর পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ( PA) এর নাম বলাতেই কয়লা পাচার মামলায় তদন্ত শেষ করতে তড়িঘড়ি আদালতে দ্বারস্থ হয় মমতা পুলিশ ।’’
advertisement
আরও পড়ুন - Cyclone Sitrang Alert: কবে, কখন, কোথায় সাইক্লোন সিত্রাং, রইল ঘূর্ণিঝড়ের পুরো গতির আপডেট
‘'একদিকে আদালতের নির্দেশে একই মামলায় যখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে তখন রাজ্য পুলিশের পৃথক তদন্তে 'না' জানানো এবং সিআইডি-র তদন্তে ভাইপোর নাম উঠে আসাতেই আর তদন্ত এগিয়ে নিয়ে না যাওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হয় সিআইডি। মমতা পুলিশ ভেবেছিল আমাদের বিজেপি নেতাদের কয়লা পাচারের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে অস্বস্তিতে ফেলবে। তা তো হলোই না, উল্টে রাজ্য পুলিশের তদন্তে নাম উঠে এলো ভাইপোর। আমরা সহজে ছেড়ে দেবো না। এর শেষ দেখে ছাড়বো।’’
আরও পড়ুন - দীর্ঘ ১৪ মাসের পানীয় জলের সমস্যা! প্রতিবাদে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর। প্রসঙ্গত, আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি সহ বিজেপির কয়েকজনকে আসানসোল দুর্গাপুর এলাকার কয়লা পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিশ জারি করে সিআইডি। নোটিসকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। পরবর্তীকালে আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, কয়লা পাচার কাণ্ডে যখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে তখন একই মামলায় পৃথক তদন্ত করতে পারবে না সিআইডি। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কয়লা পাচার কাণ্ডে বিজেপি নেতাদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসাতেই সিআইডি তদন্তে নেমেছিল'।
Venkateswar Lahiri