বাড়ি পাওয়ার ক্ষেত্রে গরীব মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ১৭ দফা গাইডলাইনে কী কী আছে? আজ, বুধবার সামাজিক মাধ্যমে তা প্রকাশ্যে আনতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার নিজেই একথা জানালেন শুভেন্দু। সমস্ত গাইডলাইন না মেনে যদি দেখা যায় কেউ তথ্য গোপন করে কিংবা প্রশাসনকে চাপ দিয়ে তৃণমূলের নেতারা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বেআইনিভাবে পাইয়ে দিয়েছে তাহলে সেই উপভোক্তার নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, অন্যায় ভাবে বাড়ি পাওয়া বাতিল হওয়া উপভোক্তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে।
advertisement
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসনিক কর্তার বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করে কলকাতায় ফিরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এমনটাই দাবি করলেন। শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন, ‘‘আমরা গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। ৩১ ডিসেম্বরের তালিকা যাচাই করে দেখব। যদি দেখা যায় ১৭টি গাইডলাইনের সামান্য হেরফের করা হয়েছে তাহলে শেষ দেখে ছাড়ব।’’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দিল্লিতে গিয়ে বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, মন্ত্রীর কাছে আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে শাসকদলের বিরুদ্ধে লাগামছাড়া দুর্নীতির নালিশ করেন শুভেন্দু-সুকান্তরা।
বলা বাহুল্য, যোজনার বরাদ্দ এসে পৌঁছনোর পর থেকেই রাজ্যজুড়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গৃহপ্রাপকদের তালিকা যাচাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্য। আর সেই কাজ শুরু হতেই সামনে আসছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। কোথাও চার তলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তালিকায় নাম থাকছে তৃণমূল উপপ্রধানের স্ত্রীয়ের, কোথাও আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কপালে জুটছে হুমকি। অভিযোগ, মাটির বাড়িতে বসবাস করলেও আবাস যোজনার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বহু মানুষ। আর যাঁদের বাড়িঘর, সম্পত্তির কোনও অভাব নেই, প্রভাব খাটিয়ে তাঁরাই সব নিজেদের এবং নিজের আত্মীয় পরিজনদের নাম তুলে দিচ্ছে তালিকায়।