রাজ্যসভায় একটি লিখিত প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে নিত্যানন্দ রাই আরও জানিয়েছেন, আত্মহত্যার আরও কয়েকটি কারণ প্রকাশ্যে এসেছে। ২০১৮ সালে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া বা ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে যাওয়ার ফলে আত্মহত্যা করেছিলেন মোট ৪ হাজার ৯৭০ জন, ২০২০ সালে সেই সংখ্যাটি ছিল ৫ হাজার ২১৩ জন। ২০১২ সালে এই সংখ্যাটি ছিল মাত্র ২ হাজার ৩৫৭।
advertisement
আরও পড়ুন: সারদা-নারদ মামলায় সিবিআই-ইডির মুকুল রায়কে গ্রেফতার করা উচিত, বিস্ফোরক ট্যুইট কুণালের
নিউজ১৮ এর বিশ্লেষণের ভিত্তিতে দেখা গিয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে বেকারত্বের কারণে আত্মহত্যার পরিমাণ গড়ে প্রতিবছরই বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালে সেই সংখ্যাটি প্রথম ৩ হাজার পেরিয়ে যায়। ২০১৬ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ২২৯৮, তার পরের বছরগুলিতে ছিল যথাক্রমে ২৪০৪, ২৭৪১, ২৮৫১। ২০২০ সালের হিসাব অনুসারে দেশে বেকারত্ব ও দেউলিয়া হওয়ার কারণে মোট আত্মহত্যার পরিমাণ ৮ হাজার ৭৬১। রাজ্যসভায় পাওয়া জবাবে এই কথা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিরোধীদের ভরসা শিলিগুড়ি, আসানসোল! চার পুরনিগমে শুরু হয়ে গেল ভোটগ্রহণ
রাজ্যসভায় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতে বেকারত্বের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের আরও কর্মদিব সৃষ্টির তাগিদে চালু করা হয়েছে আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনা। এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন সংস্থা, যাঁরা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছেন, তাঁদের নানারকম সুবিধা দেওযার কথা বলেন কেন্দ্রীয় সরকার, পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও বলা হয়।