২০০০ সালে প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ (U19 World Cup) জয়ের স্বাদ পেয়েছিল ভারত। এরপর ২০০৮, ২০১২ ও ২০১৮ সালে সেই ধারা বজায় রাখে ‘মেন ইন ব্লু’। শেষ ন’টি বিশ্বকাপের মধ্যে সাতবার ফাইনালে পৌঁছেছিল ভারত।
advertisement
গ্রুপ পর্বে সব ম্যাচ জিতে নক-আউটের টিকিট নিশ্চিত করে চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। কোয়ার্টার-ফাইনালে বাংলাদেশ ও শেষ চারের লড়াইয়ে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দাপটে জিতে ফাইনালে পৌঁছয় ভারত। শেষ পর্যন্ত আজ আবার চ্যাম্পিয়ন ভারত।
ইংল্যান্ডের দেওয়া ১৯০ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে ভারতের যে খুব অসুবিধা হবে না সেটা জানাই ছিল। অঙ্গক্রিশ রঘুবংশী দ্বিতীয় বলেই ফিরে গেলেন খাতা না খুলে। ভারতকে ধাক্কা দিলেন বয়ডেন। এরপর অবশ্য হারনুর এবং শাইক রশিদ খেলাটা ধরে ফেললেন। হারনুর (২১) করে ফিরে গেলেন। তারপর রশিদ এবং অধিনায়ক ইয়াশ ধুল মিলে মসৃণ গতিতে এগোচ্ছিলেন। অর্ধশত রান পূর্ণ করার পর রশিদ হঠাৎ তুলে মারতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এলেন। এক ওভার পরেই ফিরে গেলেন অধিনায়ক ইয়াশ (১৭) পুল করতে গিয়ে। দুটো উইকেটই নিলেন সেলস।
আরও পড়ুন - Viral Video: ঘোড়ার পিঠ থেকে নাচতে নাচতে এ কী ধরণের নাগিন ডান্স, বিয়েবাড়ির ভাইরাল ভিডিও
৯৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে হঠাৎ করেই যেন একটু চাপে পড়ে গেল ভারত। কিন্তু এরপর দুই বাহাতি রাজ বাওয়া এবং নিশনন্ত সিন্ধু মিলে কিছুটা থিতু হলেন। স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন। রাজ ৩৫ করে আউট হলেন। দুজনের ৬৭ রানের পার্টনারশিপ ভারতের পায়ের তলার মাটি শক্ত করল। টাম্বে ১ করে ফিরলেও দীনেশ বানা দুটি ছক্কা মেরে ভারতকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।
এদিনের ম্যাচে ১৪ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে জেতার পরেই বিসিসিআই (BCCI) প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Gaguly) ট্যুইট করে দলকে শুভেচ্ছা বার্তা দেন৷
নিজের ট্যুইটে তিন লিখেছেন, ‘‘অনুর্ধ্ব ১৯ দলকে শুভেচ্ছা, শুভেচ্ছা সাপোর্ট স্টাফদের, নির্বাচকদের৷ এরকম দারুণভাবে বিশ্বকাপ জেতার জন্য৷ ৪০ লক্ষ টাকার পুরস্কার এই কৃতিত্ব সম্মান জানানোর একটা সামাণ্য চিহ্ন৷ তোমাদের পরিশ্রম টাকার উর্ধ্বে৷’’