সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিকাশ ত্রিপাঠী নামের ওই ব্যক্তি তথা আবেদনকারীর দাবি ছিল, সনিয়া গান্ধির নাম নয়াদিল্লি কেন্দ্র থেকে ১৯৮০ সালের ভোটার তালিকাভুক্ত ছিল৷ অথচ, তার ৩ বছর পরে তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন৷
ত্রিপাঠীর আইনজীবী পবন নারাঙ্গ আদালতে সওয়াল করেন, ভারতীয় ভোটার হওয়ার জন্য ভারতীয় নাগরিক হওয়া আগে প্রয়োজন৷ তিনি অভিযোগ করেন, সেই সময় সনিয়া গান্ধির নাম ভোটার তালিকাভুক্ত থাকার অর্থ কর্তৃপক্ষের সাথে জালিয়াতি ও প্রবঞ্চনা করা৷
advertisement
আরও পড়ুন: ভারতের সাথে ‘যোগ’, এখান থেকেই সব…! জানেন কুলমান ঘিসিং-কে কেন পছন্দ নেপালের Gen Z-র
পিটিআই এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নারাঙ্গ আদালতে জানিয়েছে, ১৯৮০ সালে সনিয়া গান্ধির বাড়ির ঠিকানা রেশন কার্ড এবং পাসপোর্টের উপরে ভিত্তি করে করা হয়েছিল৷ তিনি আরও জানান যে, ১৯৮২ সালে নির্বাচন কমিশন তাঁর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেন৷ সেই সময় নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল সঞ্জয় গান্ধিরও৷ তিনি বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন তখন৷ ফের ১৯৮৩ সালে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পরে সনিয়া গান্ধির নাম ভোটার তালিকায় ওঠে৷
নারাঙ্গ সওয়াল করেন, ‘‘কেন নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল, তার কারণ কোথাও পাওয়ার যায়নি৷ তাঁর নাম ভোটার তালিকাভুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনকে সেই সময় কোন নথি দেওয়া হয়েছিল?’’
ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৭৫ (৪) ধারা অনুযায়ী সনিয়া গান্ধির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়াণা জারির আবেদন করা হয়েছিল৷ যা গৃহীত হলে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হত৷ আবেদনকারী এই বিষয়ে পুলিশে এফআইআর দায়ের করে জালিয়াতির অভিযোগে তদন্তের আর্জি জানিয়েছিল৷
কিন্তু, তাঁর আবেদন খারিজ করে আদালত জানায় সনিয়া গান্ধির বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের করা যাবে না৷