তবে এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভের পরে, ছাতরপুর জেলা কালেক্টর সন্দীপ জিআর ডিপি দ্বিবেদীর দেওয়া শো-কজ নোটিশ বাতিল করেছেন। ডিপি দ্বিবেদী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, রাকেশ কানহুয়ার ব্যবস্থা করা চা এবং প্রাতঃরাশ মুখ্যমন্ত্রীকে পরিবেশনই করা হয়নি কারণ তিনি বিমানবন্দরে থামেননি, কেবল বিমানঘাঁটিতে বিমান পরিবর্তন করেছিলেন।
আরও পড়ুন- ভারতে ওমিক্রনের নয়া সাব ভ্যারিয়েন্ট! বর্ষায় সর্দি-জ্বর নাকি কোভিড? বুঝবেন কীভাবে
advertisement
পৌর নির্বাচনের প্রচারের উদ্দেশ্যে রেওয়ায় যাচ্ছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান। “সোমবার সকাল ১১.৩০ টায় খাজুরাহো বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সময় রাকেশ কানহুয়াকে চা এবং প্রাতঃরাশের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল,” বলেন দ্বিবেদী। তখনই দেখা যায় ওই চা ঠান্ডা এবং নিম্নমানের।
“মেনু অনুযায়ী, আপনাকে চা এবং প্রাতঃরাশের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চায়ের মান অত্যন্ত নিম্ন এবং তা ঠান্ডা পরিবেশন করা হয়েছিল,” এসডিএমের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও লেখা হয়, এই ঘটনা জেলা প্রশাসনের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, ভিভিআইপিদের প্রটোকল সম্পর্কেও প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারে।
আরও পড়ুন- "উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ বলে কিছু নেই, এটা বঙ্গ": বিরোধীদের কড়া বার্তা অভিষেকের!
জুনিয়র সাপ্লাই অফিসার রাকেশের থেকে তিন দিনের মধ্যেই এই অব্যবস্থাপনার ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠানো হয়। এই বিজ্ঞপ্তির একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার হয় এবং সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে পরে আধিকারিকরা জানান, “প্রটোকল লঙ্ঘনের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী কোনও মন্তব্য করেননি, জুনিয়র সাপ্লাই অফিসারকে কারণ দর্শানোর যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় তা বাতিল করা হয়েছে।”
অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র নরেন্দ্র সালুজা এই ঘটনায় সরকারকে খোঁচা দিয়ে বলেন, “মানুষ রেশন নাও পেতে পারে, অ্যাম্বুলেন্স নাও পেতে পারে, তবে মুখ্যমন্ত্রীকে ঠান্ডা চা দেওয়া যাবে না।”