আরও পড়ুন: '২০২৪-এর ফল লুকিয়ে উত্তর প্রদেশ জয়ে', দলীয় কর্মীদের সামনে দাবি মোদির
উত্তরপ্রদেশে ভারতীয় জনতা পার্টির এই সাফল্য ঐতিহাসিক ছাড়া আর কিছুই নয়, একজন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী আবার জনাদেশে জিতেছেন বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে। মুজাফফরনগরে দাঙ্গার জন্য ২০১৭ সালে মেরুকরণ হয়ে ছিল। ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। ২০২২ সালে কোনও সমস্যাই ছিল না জয়ের ক্ষেত্রে বিজেপির।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ ভবন নয়, পঞ্জাবের এই গ্রামে শপথ নেবেন ভাবী মুখ্যমন্ত্রী ভগওয়ান্ত মান! কেন?
উত্তরপ্রদেশে বিজেপির এই অত্যাশ্চর্য জয়ের ব্যাখ্যা কী?
একটি পরিষ্কার উত্তর আমি পেয়েছি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে। তাঁরা মূলত রাজ্যের বর্তমান আইনশৃঙ্খলায় যথেষ্ট খুশি। কেবলমাত্র উন্নয়ন নয়, কর্মসংস্থান বা চাকরি নয়, বঞ্চিত মানুষের জন্য কোনও উপকারী স্কিম নয়, শুধু আইন-শৃঙ্খলার মতো খুব সাধারণ এবং মৌলিক চাহিদা ছিল যার ওপরে যোগী আদিত্যনাথ জোর দিয়েছিলেন। আর তাতেই ঐতিহাসিক জয় লাভ হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের জনগণের কাছে সুনিরাপত্তাই ছিল একমাত্র চাহিদা। ২০১৭ সালে যোগী যখন প্রথমবার জনাদেশে জিতেছিলেন, তখন তাঁর উপর প্রবল চাপ ছিল। প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল তাঁর আইন-শৃঙ্খলাকে গুরুত্ব দেওয়া। প্রথমবার ক্ষমতা পেয়েই যোগী আদিত্যনাথ নজিরবিহীন আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি করেছিলেন। একটি সমীক্ষায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত রেকর্ডের জন্য বিজেপি সরকারকে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোর তুলনায় প্রথম স্থান দেওয়া হয়। বহুজন সমাজ পার্টি এবং সমাজবাদী পার্টি অনুসরণ করে উত্তরপ্রদেশের বিজেপিকে। আমার মনে আছে ২০১৭ সালের অক্টোবরে একটি সম্মেলনের জন্য লখনউতে গিয়েছিলাম। যে কোনও রকম সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করতে দেখেছিলাম বিজেপি সরকারকে। সেখানে অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াডস, জমি মাফিয়া দমন সহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়ে ছিল বিজেপি সরকার। আগ্রার শিল্প এলাকা, শাহিবাগ শিল্প এলাকা, এবং গ্রেটার নয়ডায় প্রভূত উন্নয়ন করেছে বিজেপি সরকার। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো জানিয়েছে, যোগী ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইউপিতে ধর্ষণ ৪৩ শতাংশ, খুন ২৩ শতাংশ এবং অপহরণ ১৯ শতাংশ কমেছে।
(লেখিকা মণিকা ভর্মা সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস বিভাগ থেকে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস-এ পিএইচডি করেছেন। এই নিবন্ধে প্রকাশিত মতামতের দায় লেখিকার। প্রকাশনা সংস্থার দায় বর্তাবে না।)