বিহারে বর্তমান এনডিএ সরকার বিজেপি ও জেডিইউ-র জোট ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন নীতীশ কুমার। বিকেলেই নীতীশ কুমার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে এনডিএ সরকারের পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। নীতীশের সঙ্গে রাজভবনে গিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে তেজস্বী যাদবের পাশাপাশি মহাজোটের অন্য দলগুলোর নেতারাও থাকতে পারেন বলে জানিয়েছিল সূত্র। এনডিএ সরকারের জোট থেকে পদত্যাগের পাশাপাশি নীতীশ মহাজোটের নতুন সরকার গঠনের দাবি তুলে ধরবেন বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন লালু পুত্র তেজস্বী! 'মহাগঠবন্ধন ২.০’-এর ইঙ্গিত আরজেডির
আরও পড়ুন- বিহারে ফের 'লালু ম্যাজিক'! 'লালু বিন বিহার চালু' হতে পারে না, ইঙ্গিত লালু কন্যার
বৃহত্তম জোটের এবং বৃহত্তম দল হওয়ায় আরজেডিকে মহাজোট সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়া রাজ্যপালের কাছে বাধ্যতামূলক। সূত্র জানিয়েছে, আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দলের চারজন বিধায়ক প্রথমে আলাদা হয়ে জেডিইউতে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাঁদের বুঝিয়ে আরজেডিতেই পাঠানো হয় যাতে আরজেডি বিধানসভায় একক বৃহত্তম দল হয়ে ওঠে।
আরজেডি ও জেডিইউয়ের এই মেলবন্ধনের যাত্রা স্পষ্টতই গত মে মাসে শুরু হয়েছিল। নীতীশ কুমার একটি ইফতার পার্টির জন্য তেজস্বী যাদবের বাড়িতে যান। এর পরেই নীতীশ কুমারের ইফতার পার্টিতে হাজির হন তেজস্বী যাদব। ২০১৫ সালের নির্বাচনে যখন জেডিইউ, আরজেডি এবং কংগ্রেস একসঙ্গে জিতেছিল বিধানসভার বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা তেজস্বী যাদব তখন নীতীশ কুমারের উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। লালু যাদবের আরেক ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবও মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু ২০১৭ সালে বিজেপির সঙ্গে জুড়তে নীতিশ কুমার ‘মহাজোট’ থেকে বেরিয়ে যান৷ জেডিইউ এবং বিজেপি একসঙ্গে ২০২০ সালের নির্বাচনে জয় লাভ করে৷