TRENDING:

‘আইএএস হয়ে তবেই ফিরব’ বলেছিলেন শ্রেয়া; ছোট থেকে একই ইচ্ছা ছিল তানিয়ারও, সব স্বপ্নের সলিল সমাধি ঘটল দিল্লির রাজেন্দ্রনগরে

Last Updated:

Rajendra Nagar Delhi Coaching Centre Incident: দুর্ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে মৃত দুই তরুণীর পরিবার।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নয়াদিল্লি: রাউ’জ আইএএস কোচিং সেন্টারে তিন পড়ুয়ার মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। জলে ডুবে মৃত ৩ পড়ুয়ার মধ্যে শ্রেয়া যদব ও তানিয়া সোনি নামের দুই তরুণীও রয়েছেন। শ্রেয়া উত্তর প্রদেশের আম্বেডকর নগরের বাসিন্দা। তানিয়ার বাড়ি বিহারের ঔরঙ্গাবাদে। তবে তাঁর বাবা কাজের সূত্রে তেলেঙ্গানায় থাকেন।
‘আইএএস হয়ে তবেই ফিরব’ বলেছিলেন শ্রেয়া; ছোট থেকে একই ইচ্ছা ছিল তানিয়ারও
‘আইএএস হয়ে তবেই ফিরব’ বলেছিলেন শ্রেয়া; ছোট থেকে একই ইচ্ছা ছিল তানিয়ারও
advertisement

দুর্ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে মৃত দুই তরুণীর পরিবার। ছোট থেকেই আইএএস হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তানিয়া। শ্রেয়া বাড়ির লোককে কথা দিয়েছিলেন, আইএএস হয়ে তবেই ফিরবেন তিনি। প্রসঙ্গত, প্রবল বৃষ্টিতে জলে ভেসে যায় কোচিং সেন্টারের বেসমেন্ট। সেই সময় সেখানেই ছিলেন শ্রেয়া এবং তানিয়া। জলে ডুবে মৃত্যু হয় তাঁদের।

আরও পড়ুন– ‘ভাল কিছু আসতে চলেছে জীবনে’; কেমোথেরাপির দাগ দেখিয়ে আচমকা কেন এমন ইঙ্গিত দিলেন হিনা খান?

advertisement

বাড়িতে ফোন করেছিলেন শ্রেয়া: দিল্লির কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে জল ঢুকে শ্রেয়ার মৃত্যুর খবরে হতবাক গোটা পরিবার। শ্রেয়ার মা কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘‘ঘটনার একদিন আগে শ্রেয়ার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। মেয়ে মন খারাপ করে বলেছিল, তোমাদের কথা খুব মনে পড়ছে। বাড়ির সবার খোঁজখবর নিচ্ছিল। তারপর বলল, তোমরা চিন্তা কোরো না। স্বপ্ন সত্যি করে তোমাদের কাছে ফিরব।’’ আইএএস হওয়ার খবরের বদলে এল মেয়ের মৃত্যু সংবাদ। শ্রেয়ার পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ‘‘মেয়ে আইএএস হতে গিয়েছিল, কিন্তু লাশ হয়ে ফিরছে, আমরা কল্পনাও করতে পারছি না।’’

advertisement

আরও পড়ুন– উড়ান ধরার তোড়জোড় চলছিল, আচমকাই বিমানসেবিকাকে মোজা খোলার নির্দেশ দেন অফিসারেরা ! তারপর যা হল… দেখে চক্ষু চড়কগাছ সকলের

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

তানিয়ার পরিবারের সদস্যরা বিস্ময়বিমূঢ়। কী করা উচিত বুঝতে পারছেন না এখনও। তানিয়ার বাবা বিজয় কুমার জানান, তিনি লখনউ যাচ্ছিলেন। পথে মেয়ের মৃত্যুর খবর পান। সঙ্গে সঙ্গে নাগপুরে নেমে ফ্লাইটে দিল্লি আসেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বললেন, তানিয়ার মাত্র ২৫ বছর বয়স। কবিতা পড়তে খুব ভালবাসতেন। ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল আইএএস হওয়ার। তাই ধ্যান জ্ঞান করেছিলেন ইউপিএসসি পরীক্ষাকে। তানিয়ার এক বোন বললেন, “আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বুদ্ধিমান ছিল ওই। নাচ-গান-কবিতা সবেতেই পারদর্শী। লেখাপড়াতেও তুখোর। কিন্তু এমন ঘটবে আমরা ভাবতেও পারছি না।’’ তানিয়া বিহারের বাসিন্দা হলেও পড়াশোনা দিল্লিতেই। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক হওয়ার পর ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু সব স্বপ্নের সলিল সমাধি ঘটল দিল্লির রাজেন্দ্রনগরে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
‘আইএএস হয়ে তবেই ফিরব’ বলেছিলেন শ্রেয়া; ছোট থেকে একই ইচ্ছা ছিল তানিয়ারও, সব স্বপ্নের সলিল সমাধি ঘটল দিল্লির রাজেন্দ্রনগরে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল