তুলনামূলকভাবে গ্রিড ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি ৭০% থেকে ৮০% কম। এই সমস্যা এলএইচবি-এর ক্ষেত্রে সাধারণ, যা প্রচলিত আইসিএফ মডেলের কোচের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি, তাই এলএইচবি রেকের পরীক্ষাকরণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৭৫০ ভল্ট পাওয়ার সাপ্লাই প্রদান করে ওয়াশিং/পিট লাইনগুলিতে পরিকাঠামো ও ক্ষমতা সৃষ্টি করা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।এই লক্ষ্যের জন্য ভারতীয় রেলওয়ের (আইআর) ৪১১টি ওয়াশিং/পিট লাইনগুলির মূল কাজের জন্য আনুমানিক ২১০ কোটি টাকার মোট মূলধন অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল, যা রেলওয়ে বোর্ডের দ্বারা এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল, সমগ্র ভারতীয় রেলওয়েকে আওতাভুক্ত করার জন্য ৪১১টি ওয়াশিং/পিট লাইনে পরিকাঠামো নির্মাণ করার জন্য মূল কাজগুলির অনুমোদন জানিয়ে কাজ প্রদান করা হয়েছিল এবং ২০২৩-এর জুলাই মাসের শেষের দিকে ৩১৬টি ওয়াশিং/পিট লাইনে কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছিল।
advertisement
অবশিষ্ট কাজ ২০২৩ বর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ওয়াশিং/পিট লাইনগুলিতে ২১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে পরিকাঠামো ক্ষমতা তৈরির দ্বারা প্রতি বছর সাধারণ কাজের ব্যয়ে ৫০০ কোটি টাকারও অধিক সাশ্রয় হবে। ভারতীয় রেলওয়েতে এইচওজি অনুরূপ লোকোমোটিভ ফ্লিটের লক্ষ্যের সঙ্গে সম্মিলিত সাশ্রয় অনেক বেশি হবে। এটি পরিচালনামূলক ব্যয় হ্রাস করে এবং অপ্টিমাইজেশনের সাথে দক্ষতার উন্নয়নের মাধ্যমে নন-ট্যারিফ ব্যবস্থাগুলির মাধ্যমে যাত্রী পরিষেবা, বিশেষভাবে মেল/এক্সপ্রেস সেগমেন্টে পরিচালনামূলক কার্যকারিতা উন্নত করতে ভারতীয় রেলওয়ের প্রচেষ্টার একটি অংশ।
আরও পড়ুন– এই ৫ আচরণই চিনিয়ে দেবে অহঙ্কারীদের; সময় থাকতেই দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যক!
এলএইচবি রেক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ১০টি কোচ রক্ষণাবেক্ষণ ডিপোর ওয়াশিং/পিট লাইনে ৭৫০ ভল্ট পাওয়ার সাপ্লাই প্রদান করা হচ্ছে। এগুলির মধ্যে ৭টি ডিপোতে ৭৫০ ভল্ট পাওয়ার সাপ্লাই স্থাপনের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং অবশিষ্ট কয়েকটি সম্পূর্ণ হওয়ার অগ্রিম পর্যায়ে রয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েতে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের এই পরিকাঠামোমূলক কাজ আনুমানিক ১৫.৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পাদন করা হচ্ছে, যা ফসিল ফুয়েলের বিল হ্রাস করবে। জুলাই ২০২৩ মাসের জন্য সঞ্চয় হল ৬৭,২১৯ লিটার (প্রায়) এবং এক বছরের জন্য ৭৫০ ভল্ট বাহ্যিক বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পিট-লাইন/সিক লাইনে প্রত্যাশিত এইচএসডি জ্বালানি সঞ্চয় হল ৮,০৬,৬২৮ লিটার (প্রায়)।ফসিল ফুয়েলের উপর নির্ভরতা হ্রাস করতে এবং ২০৩০-এর মধ্যে নেট জিরো কার্বন ইমিটার ট্র্যান্সপোর্টার হয়ে ওঠার জন্য কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাস করতে ভারতীয় রেলওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রী সিওপি ২৬ (পার্টিগুলির সম্মেলন)-এ জাতীয় বিবৃতিতে এই বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। এই কাজটি কার্বন প্রশমন বিকাশ কৌশল গ্রহণ করার জন্য ভারতীয় রেলওয়ের নিম্ন কার্বন নির্গমনের পথে একটি পদক্ষেপ। উপরোক্ত প্রদর্শনগুলিতে সুরক্ষা, ব্যয় অর্থনীতি, কার্বন ফুটপ্রিন্ট ও এইচআর দক্ষতার ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় সুবিধা নিয়ে আসতে কাজ ও ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করতে ভারতীয় রেলওয়ের নিরলস সাধনারই প্রতিফলন ঘটেছে।