Vijay Mallya: গাড়িশালে ছিল আড়াইশো গাড়ি, এমনকী ছিল ব্যক্তিগত বিমানও; এক সময়ের রাজাই আজ আইনের চোখে ফেরার!
Last Updated:
Biggest Indian Banking Fraud: একবার লন্ডনের এক নিলামে টিপু সুলতানের তরবারি এবং অন্যান্য শিল্পকর্মের জন্য ১.৭ কোটি টাকা হেঁকেছিলেন। এর পর নিলাম থেকে প্রাপ্ত সামগ্রী তিনি ভারতে ফিরিয়ে এনেছিলেন।
শূন্য থেকে শুরু করে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেছেন, এমন কোটিপতিদের উদাহরণ আমাদের দেশে ভূরি ভূরি রয়েছে। তবে এ-দেশে এমনও উদাহরণ রয়েছে, যেখানে দেখা যায় ভাগ্যের ফেরে সমস্ত কিছু খুইয়ে রীতিমতো ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছেন এক কালের সফল ব্যবসায়ী। এই ব্যবসায়ীদের তালিকায় অন্যতম হলেন বিজয় মালিয়া। আইনের চোখে যিনি পলাতক! আজ এই পলাতক ব্যবসায়ীর গল্পই শুনে নেওয়া যাক।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
এখানেই শেষ নয়, নিউ ইয়র্কের একটি নিলামেও দর হাঁকিয়ে জিতেছিলেন মালিয়া। সেখানে ১.৮ মিলিয়ন ডলারে গান্ধীজির ব্যক্তিগত সামগ্রী কিনে তা দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। গান্ধীজির ওই সব সামগ্রীর মধ্যে অন্যতম হল তাঁর ব্যবহার করা চশমা, জুতো, পকেট ঘড়ি, থালা এবং বাটি। এমনকী রাজ্যসভাতেও সদস্য হয়েছিলেন বিজয় মালিয়া। আর আইপিএল-এর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (আরসিবি) দল প্রথমে তিনিই কিনেছিলেন।
advertisement
মালিয়ার সাফল্যের জয়যাত্রা এখানেই থেমে থাকেনি। ২০০৫ সালে তিনি কিংফিশার এয়ারলাইন্স স্থাপন করেন। এই বিমান সংস্থার প্রথম উড়ানটি মুম্বই থেকে দিল্লি উড়ে গিয়েছিল। এর ঠিক ২ বছর পরে মালিয়া কিনে নিয়েছিলেন ভারতের প্রথম কম খরচের বিমান সংস্থা এয়ার ডেকান। ওই সময় ধুঁকছিল সংস্থাটি। তবে ২০১২ সাল নাগাদ মাত্রাতিরিক্ত ঋণের বোঝার কারণে বন্ধ হয়ে যায় কিংফিশারের উড়ান। এমনকী কর্মচারীদের বেতনও দেয়নি সংস্থা। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ঋণ পরিশোধ করতে রীতিমতো হিমশিম খেয়েছিল কিংফিশার এয়ারলাইন্স।
advertisement
সরকার এবং বিভিন্ন ব্যাঙ্কের থেকে বিজয় মালিয়া আর্থিক সাহায্য নিয়েছিলেন। তবে ঋণ শোধ করতে না পারার কারণে আইনি এবং আর্থিক ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন মালিয়া। এই পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলি বিজয় মালিয়াকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি বলে দাগিয়ে দেয়। ফলে বিজয় মালিয়া আর ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে ধারাবাহিক ভাবে আইনি যুদ্ধ চলে।
advertisement