রাহুল দাবি করেন, মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমস্ত কূটনৈতিক প্রোটোকল ভেঙে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অথচ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি সেই সম্মান দেখানো হয়নি— যা ভারতের আন্তর্জাতিক মর্যাদাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়।
মাত্র ১৫ বছরেই কী ভাবে ফাটল ধরল কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের পিলারে? বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন…দোষ কার?
advertisement
‘জল কত করে? দাও তো!’ চলন্ত ট্রেনে জল কিনলেন কে? পোশাক দেখে চেনা যায়নি, হকার ‘রেট’ বলতেই সর্বনাশ!
আসিম মুনিরের সঙ্গে ট্রাম্পের লাঞ্চ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ রাহুল গান্ধীর। মোদিকে আমন্ত্রণ না জানানোয় আন্তর্জাতিক সম্মান নিয়েই প্রশ্ন।
রাহুল এরপর ট্রাম্পের এক বিতর্কিত মন্তব্যকে ঘিরেও প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি তাঁর হস্তক্ষেপেই সম্ভব হয়েছে। রাহুল সোজাসাপ্টা ভাষায় বলেন,
“প্রধানমন্ত্রী বলুন, ট্রাম্প কি মিথ্যেবাদী?”
কারণ ভারতের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি সম্পূর্ণভাবে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে আলোচনা করেই হয়েছে— কোনও তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা নেই।
অন্যদিকে, সরকারের পক্ষে লোকসভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর তোপ,
“পাকিস্তান আজও টিকে আছে কংগ্রেসের জন্যই। উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের উৎস হিসেবে কংগ্রেসের শাসনব্যবস্থাই পথ খুলে দিয়েছে।”
তিনি জানান, ১০ মে, পাকিস্তানের ডিজিএমও ফোন করে ভারতের ডিজিএমও-কে যুদ্ধবিরতির বার্তা দেন, এবং তার পরেই সংঘর্ষ থেমে যায়।
‘অপারেশন সিঁদুর’ সংক্রান্ত বিতর্ক শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। মে মাসে চারদিন ধরে চলা ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘর্ষ এবং পাহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানাই এর মূল প্রেক্ষাপট।
বিজেপি এবং শরিক দলগুলি এই অভিযানে মোদি সরকারের দৃঢ়তা এবং ভারতীয় সেনার ‘বিফিটিং রেসপন্স’-এর প্রশংসা করলেও, বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে— এত কড়া পদক্ষেপ সত্ত্বেও জঙ্গিরা ধরা পড়ছে না কেন? সোমবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী মোদি লোকসভায় বা রাজ্যসভায় এই নিয়ে মুখ খুলতে পারেন বলে সংসদ সূত্রে খবর। সব পক্ষই এখন তাকিয়ে সেই ভাষণের দিকেই।