রঘুনাথ সিং হত্যা মামলাটি আসলে কী?
বারহ এলাকার একজন কুখ্যাত অপরাধী ছিল রঘুনাথ সিং। দীর্ঘ অপরাধের রেকর্ড রয়েছে তার। ২০২১ সালে ভাদৌর থানা এলাকার বাকমা গ্রামে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় রঘুনাথ সিংকে ১৬ বার গুলি করা হয়েছিল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল তার। এই হত্যা মামলায় রঘুনাথ সিংয়ের পরিবারের তরফে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছিল অনন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে। যদিও প্রাথমিক এফআইআর-এ অনন্ত সিংয়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কিন্তু পরে তদন্তের সময় তার নাম ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: রেলস্টেশনের মাইক বন্ধ করতে ভুলে গেলেন মহিলা কর্মী! তারপর যা শোনা গেল…হাসতে হাসতে পেটে খিল সকলের
অনন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগটা ঠিক কী?
রঘুনাথ সিং হত্যা মামলায় জেলে থাকাকালীনই খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে অনন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে। রঘুনাথের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে, অনন্ত সিং নিজের প্রভাব খাটিয়ে সেই খুনটি করেছেন। তব এই সমস্ত অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছিলেন অনন্ত সিং। তাঁর আইনজীবী আদালতে যুক্তি দেন যে, রঘুনাথ খুনের সময় অনন্ত সিং বেউর জেলে ছিলেন। তাই এই ধরনের ষড়যন্ত্রে তাঁর কোনও ভূমিকা থাকতেই পারে না।
আদালতে কী ঘটেছিল?
সম্প্রতি পটনার এমপি-এমএলএ স্পেশ্যাল কোর্টে হাজির হয়েছিলেন অনন্ত সিং। সেখানে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। অনন্ত সিং অবশ্য আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেই সঙ্গে এ-ও বলেন যে, তাঁর মানহানির জন্যই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আদালতে মামলাটির শুনানি হয়েছে এবং এখনও তদন্ত করা হচ্ছে। এদিকে অনন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে অন্যান্য মামলার আইনি প্রক্রিয়াও চলছে, যার জেরে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
মোকামার ‘ছোটে সরকার’ অনন্ত সিংকে নিয়ে বিতর্ক:
মোকামায় ‘ছোটে সরকার’ নামে পরিচিত অনন্ত সিং। দীর্ঘ সময় ধরে বিতর্ক যেন তাঁর পিছুই ছাড়ছে না। ২০১৫ সালের ডাবল মার্ডার মামলায় তিনি মুক্তি পান। কিন্তু ২০১৯ সালে তাঁর পৈতৃক বাড়ি থেকে একে-৪৭ এবং গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে। ফলে তাঁর সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এদিকে চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের মোকামা গুলিবর্ষণ মামলাতেও জড়িয়েছে অনন্ত সিংয়ের নাম। তবে সেই মামলায় তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।