এই ধনপুর থেকেই বরাবর জিতে এসেছেন মানিক সরকার৷ ত্রিপুরার ধনপুর বিধানসভা আসন৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, ত্রিপুরার এই আসন বাংলার সাতগাছিয়া বিধানসভা আসনের মতো৷ যেখানে একদা লড়াই করতেন জ্যোতি বসু৷ সেই আসন আর বামেদের পাশে নেই ২০০১ সাল থেকে৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুও সাতগাছিয়া বিধানসভা থেকে আর ভোটে লড়েননি৷ সেই থেকেই ওই আসনে হেরে যাওয়া শুরু বামেদের। অনেকেই বলছেন মানিক সরকার, ভোটে না দাঁড়ানোয়, ত্রিপুরার এই আসনও বামেদের হাতছাড়া হতে পারে বামেদের।
advertisement
আরও পড়ুন: অভিজ্ঞতা থেকে এখনও শিখছেন, প্রার্থী না হয়েও ত্রিপুরার ভোটের ময়দানে আজও তিনিই তারকা
ধনপুর আসনের বিজেপি প্রার্থী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক জানিয়েছেন, 'এত বছর ধরে বামেরা এখানে জিতে আসছে। যদিও উন্নয়নের কাজ এখানে কিছুই হয়নি৷ না সড়ক, না স্বাস্থ্য, না শিক্ষা। আমি সাংসদ হবার পরে এখানে মেয়েদের স্কুল সহ বিদ্যালয় তৈরি করেছি।এমন কি, চালু স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।'
ত্রিপুরায় যখন বিজেপির সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল না, সেই সময় থেকে পদ্ম শিবিরে আছেন প্রতিমা ভৌমিক। সংগঠনের একাধিক গুরুদায়িত্ব সামলেছেন। বিশেষ করে মহিলা সংগঠনে তাঁর কাজ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর তখন থেকেই তিনি পরিচিত ত্রিপুরার দিদি হিসাবে।
আরও পড়ুন: বিজেপিকে একের পর এক আক্রমণ! ত্রিপুরায় ব্যাপক প্রচার কুণাল-সোহমের
প্রতিমা ভৌমিক বলছেন, 'আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে মহিলাদের শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করতে চাই। আমি চাই মেয়েদের জন্য একটা কলেজ তৈরি করতে। এছাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র দরকার।'
প্রতিমা ভৌমিক ত্রিপুরা থেকে নির্বাচিত প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ তাঁকে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী করায় অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন, তাহলে কি আগামী দিনে তিনি আরও বড় কোনও গুরুদায়িত্ব পেতে চলেছেন?
প্রতিমা ভৌমিক অবশ্য বলছেন, 'দল যা দায়িত্ব দেবে, আমি সেই দায়িত্ব পালন করব৷ আমি দলের সৈনিক।' বাংলার ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেসের স্লোগান ছিল, 'বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়।' ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে একটি কেন্দ্রে প্রচারের ট্যাগলাইন হয়ে উঠেছে, 'ধনপুর তার নিজের মেয়েকেই চায়।'
সব সর্বশেষ পড়ুন ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন 2023 এখানে খবর