আরও পড়ুন: দিল্লি হিংসার ঘটনায় নিম্ন আদালতে চিহ্নিত ১০ অভিযুক্ত, সুপ্রিম কোর্টেরও নতুন নির্দেশ
দুটি পর্বে এই বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রথম পর্বে ২০ জন এবং পরের পর্বে ১৬ জন সাংসদ যোগ দেন বৈঠকে। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি। সাংসদদের নিজেদের এলাকায় লাগাতার প্রবীণ মানুষদের সঙ্গে জনসংযোগের মাধ্যমে সুসস্পর্ক গড়ে তোলার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তবে এই প্রথম নয়, গত সপ্তাহে মধ্যপ্রদেশের সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়াও বারাণসীতে বিজেপি শাসিত রাজ্যের ১২ জন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন:ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর ক্ষমা চাইলেন কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়ক
প্রধানমন্ত্রীর এদিনের বৈঠককে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, " উত্তরপ্রদেশের অবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী খুবই চিন্তিত। সদ্য তিনি বারাণসীতে গিয়ে দুদিন কাটালেন। হিন্দুত্বের উপর জোর দিচ্ছেন। ওনাকে ধুতি পরে পুজো দিতে দেখা গেল। যেটা উনি পরেন না। পাজামা ছেড়েছেন। এটা ভালো।" সৌগত রায় আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ১৪০ থেকে ১৫০টি করে বাস পাঠাতে হচ্ছে। উল্টোদিকে, অখিলেশের জনসভায় ভাল ভিড় হচ্ছে।
সৌগতর ভাষায়, "দেখা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের সাংসদরা কত উদ্ধত। কৃষকদের খুন করার পরিকল্পনা করে কৃষকদের উপর দিয়ে গাড়ি ছুটিয়ে দিলেন। যে ঘটনায় ৪ জন কৃষক মারা যায়। এখন কিছুদিন হল প্রধানমন্ত্রী ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন। প্রথমে তিনি কৃষক আইন প্রত্যাহার করেছেন। কৃষকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। আজ দলের উত্তরপ্রদেশের সাংসদদের সঙ্গে সভা সেই ড্যামেজ কন্ট্রোলের অংশ। কিন্তু যখন মানুষের পায়ের তলার মাটি সরে যায় তখন আর ড্যামেজ কন্ট্রোল কাজ করে না। উত্তরপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রীর পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। আরও সরে যাবে।"
RAJIB CHAKRABORTY