#নয়াদিল্লি: দিল্লি হিংসায় (violence that engulfed Delhi last year) বিজেপি নেতাদের ভাষণের ভূমিকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দিল্লি হাই কোর্টকে তিন মাস সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট। যে এফআইআর হয়েছিল, তাতে নাম ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, বিজেপি-র কপিল মিশ্র, প্রবেশ বর্মা, অভয় বর্মার। তাঁরা উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাই নিয়ে একটি আবেদন করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই আবেদনে বলা হয়, যেন এফআইএর এর রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়, পাশাপাশি, যেন বিশেষ তদন্তকারী দল (special investigation team (SIT) গঠন করে তদন্ত করা হয়। সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দিল্লি হাই কোর্টকে তিন মাস সময় দিল শীর্ষ আদালত।
অন্য দিকে একই বিষয় নিয়ে আরও একটি মামলায় দিল্লির একটি স্থানীয় আদালত ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। সংখ্যাগুরুদের ভিতর এঁরা আতঙ্ক তৈরি করেছিলেন এবং দেশ থেকে তাড়ানোর হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ স্বীকার করেছে আদালত। আদালত বলেছে, এঁরা বেআইনি ভাবে জমায়েত করে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করেছিলেন। আদালত বলেছে, যাঁরা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের হাতে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে, যা দেখে বলা যায়, এই অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লির ভাগীরথী বিহার এলাকায় এঁরা জমায়েত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: 'ধর্ষণ অবধারিত বুঝলে শুয়ে পড়ে উপভোগ করাই ভালো', বললেন কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়ক
বিজেপি-র নেতাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগে, আবেদনকারী বলেছিলেন, একটি তদন্তকারী দল তৈরি করার কথা। যেটি তৈরি হবে দিল্লির বাইরের কোনও পুলিশ আধিকারিকদের দিয়ে। সেই নিয়ে হাই কোর্ট শুনানিতে গড়িমসি করছে বলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন আবেদনকারী। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি হাই কোর্টকে নির্দেশ দিয়েছে আগামী তিন মাসের মধ্যে এই বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করার।
আরও পড়ুন:মোদিকে সুখে-দুঃখে পাশে পেয়েছে ভুটান, তাই সে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লিতে হঠাৎই তীব্র হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। সিএএ বিরোধী আন্দোলনের মধ্যেই এই হিংসার ঘটনা তীব্র আকার ধারণ করে। ঘটনায় কম বেশি ৫০ জনের মৃত্যু হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Delhi Violence