নিউজ ১৮-এর হাতে এসেছে পিএম কেয়ারস ফান্ডের সেই রিপোর্ট। তা পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সালের মার্চ মাসে ফান্ড শুরু হওয়ার পর থেকে দুই বছরে ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি অনুদান জমা পড়েছে। এই অনুদানের ৬০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৭৭০০ কোটি টাকা, এই বছরের মার্চ পর্যন্ত স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যয় করা হয়েছে। মেডিক্যাল অক্সিজেন উৎপাদন প্ল্যান্ট স্থাপন, সরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সরবরাহ এবং অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ সব অর্থ ব্যয় করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ৫০০ টাকার নোট নকল এমন মেসেজ আসছে আপনার কাছে ? ভুলেও এই কাজটি করবেন না
২০২০-২১ সালে পিএম কেয়ারস তহবিলে জমা পড়ে ৭,১৮৩ কোটি টাকা। বিদেশ থেকে আসে ৪৯৫ কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষে দেশবাসীর থেকে ১,৮৯৭ কোটি টাকা এবং বিদেশ থেকে মাত্র ৪১ কোটি টাকা অনুদান মেলে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্চ মাসে পিএম কেয়ারস ফান্ড গঠনের পর ব্যক্তিগত ভাবে ২.২৫ লক্ষ টাকা দান করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন: শুধু সঞ্চয় নয়, নতুন বছরে এই আকর্ষণীয় খাতে বিনিয়োগ করুন, দুহাত ভরে টাকা আসবে!
রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে, গত অর্থবর্ষে পিএম কেয়ারস ফান্ডের জমা পড়া অনুদান থেকে সুদ মিলেছে ১৬০ কোটি টাকা। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে এই সুদের পরিমাণ ছিল ২৩৫ কোটি টাকা। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে গত মার্চ পর্যন্ত পিএম কেয়ারস ফান্ডে আসা ১৩,০৫৪ কোটি টাকার মধ্যে সুদ থেকে প্রাপ্ত আয় ৩৯৫ কোটি টাকা।
খরচ:
গত অর্থবর্ষে পিএম কেয়ারস তহবিল থেকে ৮৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ৫০ হাজার ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ ভেন্টিলেটর পাঠানো হয়। ডেডিকেটেড প্রেসার সুইং অ্যাবসর্পশন (পিএসএ) মেডিকেল অক্সিজেন জেনারেশন প্ল্যান্ট স্থাপনে খরচ হয় ১৭০৩ কোটি টাকা। রিপোর্ট থেকে আরও জানা যাচ্ছে, দেশ জুড়ে ৯৯,৯৮৬ অক্সিজেন কনসনট্রেটরের জন্য ৫০০ কোটি টাকা এবং এসপিও২ ভিত্তিক অক্সিজেন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সঙ্গে নন রিব্রেদার মাস্ক এবং এই জাতীয় আরও ১০ লক্ষ মাস্কের জন্য খরচ হয়েছে ৩২২ কোটি টাকা।
এখানেই শেষ নয়, পিএম কেয়ারস তহবিল থেকে ৮৩ কোটি টাকায় জম্মু এবং শ্রীনগরে ৫০০ শয্যার দু’টি অস্থায়ী কোভিড হাসপাতাল তৈরি করা হয়। উত্তর প্রদেশের লখনউতে ডিআরডিও অটল বিহারি বাজপেয়ী কোভিড হাসপাতাল তৈরি করে। সেখানে ব্যয় হয় ১৩ কোটি টাকা।