এদিন নয়াদিল্লিতে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় বিদেশ সচিব, বিক্রম মিশ্রি৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন উইং কম্যান্ডার ভ্যমিকা সিং এবং কর্নেল সোফিয়া কুরেশি৷ অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ব্রিফিং দিতে গিয়ে বিক্রম মিশ্রি জানান, জম্মু-কাশ্মীর সহ গোটা দেশে ধর্মীয় উত্তেজনা তৈরির উদ্দেশ্যে পহেলগাঁওয়ে হামলা করা হয়েছিল৷ আর পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা৷ তিনি জানান, পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল লস্কর-ই -তৈবা।
advertisement
মিশ্রির দাবি, টার্গেট ছিল লস্কর, জৈশ এবং হিজবুল ঘাঁটি লক্ষ্য করে গোয়েন্দা ইনপুট সহ পরিকল্পনা করে এই হামলা চালানো হয়েছে৷ পহেলগাঁও পাকিস্তানের মদতেই এই হামলা চালানো হয় বলে দাবি। তিনি জানান, জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল হিসাবে পাকিস্তান৷ পাকিস্তান ইচ্ছাকৃত ভাবে আন্তর্জাতিক সংস্থাদেরও ভুল বোঝায়৷ আতঙ্কবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায়নি ওরা। তাই আতঙ্কবাদীদের পরিকাঠামো নষ্ট করতে এটা ভারতকে করতে হত। রাষ্ট্রপুঞ্জও বলেছিল আতঙ্কবাদীদের আটকানো উচিত। ভারতের অপারেশন সিঁদুরকে সেই কাজকে সেই হিসাবে দেখা উচিত। এই ধরনের কাজ আটকাতে ভারত তার কাজ করেছে বলে দাবি করেন মিশ্রি।
শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট গোয়েন্দা ইনপুট পেয়েই সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে৷ হামলায় পাকিস্তানের কোনও সাধারণ নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হননি বলে ব্রিফিংয়ে দাবি করেছেন মিশ্রি৷
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির সাথে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং বলেন, ‘‘এদিন কোনও মিলিটারি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়নি এবং সাধারণ নাগরিকদের হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে পাকিস্তানের কোনও কাজ যদি পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলে, তার জবাব দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত ভারত৷’’
কর্নেল কুরেশি জানান, “বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য এবং সীমান্ত সন্ত্রাসবাদে তাদের সম্পৃক্ততার ভিত্তিতে সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তু নির্বাচন করা হয়েছিল।”