ট্র্যাক মেরামতির উপর গুরুত্ব আরোপ করায় বিগত বর্ষে দুর্ঘটনা ঘটেনি।২০২২-২৩-এর সময়সীমায় ব্যালাস্ট থেকে ধুলো, বালু, ছাই ইত্যাদির দুর্ভেদ্য স্তর পরিষ্কার করে ৩২৪.২২ টিকেএম (ট্র্যাক কিলোমিটার) সমতল ট্র্যাকের ডিপ স্ক্রিন করা হয়েছে। এটি ২০২১-২২-এর ২৭৩.৪৪ টিকেএম-এর ১৮.৬ শতাংশ বৃদ্ধি। ২০২২-২৩-এর সময়সীমায় ১৬২.৯৬ টিকেএম থ্রু স্লিপার নবীকরণ সম্পন্ন করা হয়েছে। এটি ২০২১-২২-এর ১০৭.৪৮ টিকেএম-এর ৫১.৬ শতাংশ বৃদ্ধি। ২০২২-২৩-এর সময়সীমায় ৪০৩.৭৫ টিকেএম থ্রু রেল নবীকরণ সম্পন্ন করা হয়েছে। এটি ২০২১-২২-এর ২৯৩.৬৯ টিকেএম-এর ৩৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি।
advertisement
আরও পড়ুন: স্কুলে রিভলবার নিয়ে দাপাচ্ছে যুবক, সঙ্গে অ্যাসিডের বোতল! আমেরিকা নয়, মালদহের ঘটনা
২০২২-২৩-এর সময়সীমায় ৩০৬.৪২ সিটিআর ইউনিট সম্পূর্ণ ট্র্যাক নবীকরণ করা হয়েছে। এটি ২০২১-২২-এর ২২০.৩২ সিটিআর ইউনিটের ৩৯.১ শতাংশ বৃদ্ধি। সম্পূর্ণ ট্র্যাক নবীকরণে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে নতুন অথবা সেকেন্ড হ্যান্ড পরিষেবাযোগ্য উপাদানের দ্বারা পৃথক অথবা একসাথে বিদ্যমান রেল অথবা স্লিপারের প্রতিস্থাপন করা।২০২২-২৩-এর সময়সীমায় উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ৬.৩৪ লক্ষ সি ইউ এম ব্যালাস্টিং-এর সর্বোচ্চ অগ্রগতি অর্জন করেছে। এটি ২০২১-২২-এর ৫.০৩ লক্ষ সি ইউ এম -এর ২৬.১ শতাংশ বৃদ্ধি।
আরও পড়ুন: মালদহের স্কুলে বন্দুকবাজের তাণ্ডবে দিল্লির 'চক্রান্ত'! গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন মমতা
২০২২-২৩-এর সময়সীমায় ১৭১টি টার্নআউটের ডিপ স্ক্রিনিং অর্জন করা হয়েছে। এটি ২০২১-২২-এর ১৩১টির ৩০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি। টার্নআউট হলো পয়েন্ট ও ক্রসিংগুলির একটি ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে চলন্ত ট্রেনকে একটি ট্র্যাক থেকে অন্য আরেকটি ট্র্যাকে ডাইভার্ট করা যেতে পারে। ট্রেনের চলাচল উন্নত করতে ২০২২-২৩-এর সময়সীমায় হাই ডেনসিটি নেটওয়ার্ক রুটের উপর ৩৫টি থিক ওয়েব সুইচ প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও, সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২০টি কর্মীযুক্ত লেভেল ক্রসিং লুপ্ত করা হয়েছে, ট্রেনের গতিবেগ ৫৬৪.৮৪ কিমি সেকশনে প্রতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং ২০২২-২৩ এর সময়সীমায় ১৮৩.২৮ কোটি টাকা বিভিন্ন উপার্জন করা হয়েছে। নিয়মিত বিরতিতে ট্র্যাকের রক্ষণাবেক্ষণ করার ফলে ট্রেনের সুগম পরিচালন সম্ভব হয়েছে এবং যাত্রীদের উন্নতমানের ভ্রমণ অভিজ্ঞতাও প্রদান করা হচ্ছে। রেলওয়ে ট্র্যাকের জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থার উপর বর্ধিত গুরুত্ব প্রদান করার ফলে গতি বৃদ্ধি ও উন্নত ভ্রমণ অভিজ্ঞতার পাশাপাশি ট্রেনের নিরাপদ চলাচলও সম্ভব হয়েছে।
আবীর ঘোষাল