নতুন করে স্থাপিত এই দ্বিতীয় লাইনটি প্রতি ঘণ্টায় সর্বাধিক প্রায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে পণ্য সামগ্রী ও যাত্রিবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য ব্যবহার করা হবে। মির্জা-আজারা সেকশন হল নিউ বঙ্গাইগাঁও-কামাখ্যা ভায়া গোয়ালপাড়া ১৭৬ কিমি ডাবলিং প্রকল্পের একটি অংশ। এই প্রকল্পের মধ্যে ৬০টি মেজর ব্রিজ, ৩৯৪টি মাইনোর ব্রিজ, ০৫টি রোড আন্ডার ব্রিজ, ৬২টি সীমিত উচ্চতার সাবওয়ে ও ১৮টি নতুন স্টেশন বিল্ডিং নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কমেছে রেল দুর্ঘটনা, ট্র্যাকের সুরক্ষা বাড়িয়ে বিরাট চ্যালেঞ্জ উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের
আজারা থেকে মির্জা পর্যন্ত পথটি ১১.৩৫ কিমি পর্যন্ত প্রশস্ত। রেলওয়ে সেফটি কমিশনার (সিআরএস)/এনএফ সার্কেল-এর দ্বারা প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১১৫ কিমি গতির পরীক্ষা করা হয়েছে। সমস্ত ওয়াইড বেস প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট (পিএসসি) স্লিপার ও প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট স্লিপারের উপর নতুন ডিজাইনের মজবুত থিক ওয়েব সুইচ-এর ব্যবহার সহ রোবাস্ট ট্র্যাক স্ট্রাকচার-এর মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এবং এই ডাবল লাইনের ক্ষেত্রে এর দ্বারা উচ্চ গতি নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোকা কি বাংলায় আছড়ে পড়তে পারে? ঝড়ের গতিপথ কোনদিকে? রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টির বড় খবর!
এখানে উল্লেখযোগ্য যে এই ডাবল লাইন স্থাপনের ফলে স্টেশনগুলিতে স্টপ-ওভার ক্রসিং ছাড়াই উভয় দিক থেকে ট্রেন চলাচল করা যাবে, যার ফলে ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা বৃদ্ধি পাবে। বর্ধিত গতিতে অধিক ট্রেন চলাচল করতে পারবে। আগে ২৪ নভেম্বর, ২০২২ তারিখে দুধনৈ থেকে ধুপধরা পর্যন্ত ২৯.৭১ কিমি সেকশন চালু করা হয়েছে। নিউ বঙ্গাইগাঁও-কামাখ্যা ভায়া গোয়ালপাড়ার এই সমগ্র সেকশনটি সম্পূর্ণ হওয়ার পর উত্তর পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা রেলের।
আবীর ঘোষাল