অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির বেসরকারিকরণের পথে অনেকটাই এগিয়েছে মোদি সরকার। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড ভেঙে দিয়ে সাতটি সরকার অনুমোদিত বা রাষ্ট্রয়াত্ত্ব সংস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। ১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবে সেই সাতটি রাষ্ট্রয়াত্ত্ব সংস্থা। সাতটি যে রাষ্ট্রয়াত্ত্ব সংস্থা গড়ে তোলা হয়েছে, সেগুলি উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু সহ বিভিন্ন রাজ্যে দপ্তর করা হলেও, এ রাজ্যে একটিও করা হয়নি। বিশেষজ্ঞমহলের বক্তব্য, সরকার যেহেতু কোনও বোর্ড বিক্রি করতে পারে না, সেই জন্য বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়া হিসেবে আগে বোর্ড ভেঙে গিয়ে সংস্থা করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বেনজির বিধানসভা, হাতাহাতিতে তৃণমূল-বিজেপি বিধায়করা! নাক ফাটল অসিত মজুমদারের
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, সারা দেশের মোট ৪১টি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে এই সাতটি রাষ্ট্রয়াত্ত্ব সংস্থা। প্রত্যেকটির আলাদা দায়িত্ব থাকবে। সেই মতো কাজ করবে তারা। তারমধ্যে একটি হবে অস্ত্র ও বিস্ফোরক বিভাগ। দেশের পাশাপাশি অস্ত্র ও নানান বিস্ফোরক সরঞ্জাম রপ্তানিও করবে তারা। একটির দায়িত্বে থাকবে যানবাহন। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং বাহিনী নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কমব্যাট সরঞ্জাম বা ট্যাঙ্ক ইত্যাদি যুদ্ধাস্ত্রযুক্ত যান তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে নৃশংসতা, কীভাবে রাশিয়ার পুতিনের বিচার করা হতে পারে?
এছাড়াও প্যারাশ্যুট গ্রুপ, ইলেকট্রনিক্স গ্রুপও থাকবে এই সাতটি রাষ্ট্রয়াত্ত্ব সংস্থার আওতায়। ৪১টি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির মধ্যে যেখানে যে সামগ্রি তৈরি হয়, তার ভিত্তিতে রাষ্ট্রয়াত্ত্ব সংস্থার সঙ্গে তাদের যুক্ত করা হবে। ২০২০ এর জুলাইয়ে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের কর্পোরেটাইজেশন করার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয় নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি। পুরো প্রক্রিয়াটি দেখভালের জন্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এর নেতৃত্বে একটি এমপাওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়াও সেই এমপাওয়ার্ড গ্রুপে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।