পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত বিমানযাত্রীর নাম শেখর মিশ্রা। পেশায় ব্যবসায়ী বছর পঞ্চাশের শেখর মুম্বইয়ের বাসিন্দা। গত ২৬ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে নিউ ইয়র্ক থেকে নয়াদিল্লি ফিরেছিল সে।
আরও পড়ুন: 'যদি ঢিল মারতেই হয়, উপযুক্ত জায়গায় গিয়ে মারুন', কোন দিকে ইঙ্গিত সুকান্তর? শুরু বিতর্ক
ওই বিমানেই শেখর মিশ্রার সহযাত্রী ছিলেন কর্নাটকের বছর সত্তরের এক বৃদ্ধা। সম্প্রতি ওই মহিলা এয়ার ইন্ডিয়ার গ্রুপ চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি লিখে জানান, গত ২৬ নভেম্বর তাঁর ওই সহযাত্রী নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তাঁর আসনের কাছে এসে, তাঁর গায়ে প্রস্রাব করে দেন। তাঁর পরনের জামা, ব্যাগ সবই ভিজে যায় শেখর মিশ্রার মূত্রে। তার পরেও নাকি নিজের আসনে ফিরে যাওয়ার মতো অবস্থাতে ছিলেন না তিনি।
advertisement
এখানেই শেষ হয়নি ভোগান্তির। এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার পর পরই তিনি বিষয়টি বিমানকর্মীদেরও জানিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁরা তাঁর পরনের কাপড়ের বদলে একটি পোশাক সরবরাহ করেই দায় সেরে নেন। এমনকি, সহযাত্রীর মূত্রে ভেজা আসনের উপরে একটি কাপড় বিছিয়ে সেখানেই বৃদ্ধাকে বসতে অনুরোধ করেন। জানান, তাঁকে অতিরিক্ত আসন দেওয়া পরিস্থিতি নেই গোটা বিমানে।
আরও পড়ুন: দিল্লি কাণ্ডে নয়া মোড়, তরুণীর সঙ্গে ছিলেন এক বান্ধবীও! দুর্ঘটনার পরই উধাও
এদিকে নোংরা আসনে ফিরতে নারাজ বৃদ্ধা এরপরে প্রায় ২০ মিনিট বিমানের ওয়াশরুমেই দাঁড়িয়ে থাকেন। অবশেষে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পরে ওই বৃদ্ধাকে বসার জন্য বিমানকর্মীদের একটি ছোট্ট আসন দেওয়া হলে সেখানে বসেই বাকি সময়টা কাটান তিনি। এরপরে, বিমানটি দিল্লি পৌঁছনোর পরেও কোনওরকমের শাস্তির মুখে না পরেই পার পেয়ে যান ওই অভব্য যাত্রী।
পুলিশ জানিয়েছে, নভেম্বর মাসে ঘটনাটি ঘটলেও গত ২৮ ডিসেম্বর তাঁদের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ পত্র জমা দেন এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ রবিকুমার সিং জানান, "ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫১০ (মত্ত অবস্থায় অভব্য আচরণ), ৫০৯ (মহিলার মানহানি), ২৯৪ (প্রকাশ্যে অভব্য আচরণ) সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।" এর পরেই তিনি জানান, অভিযুক্তকে ধরার জন্য বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঘটনার দিন বিমানবন্দরে উপস্থিত বিমানকর্মীদের সঙ্গেও পুলিশ কথা বলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।