তৃণমূল এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জারি রাখবে বলে জানান তিনি। বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের থেকে লিখিত জবাব চেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের থেকে তিনি জানতে চান, আন্তর্জাতিক সীমানা থেকে বিএসএফ-এর এক্তিয়ারভুক্ত এলাকা বৃদ্ধি করা নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে? যদি আলোচনা হয়ে থাকে, তাহলে তা বিস্তারিত জানানোর দাবি তোলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, কংগ্রেসের রবনীত সিং বিট্টু এবং দীপক বাইজ।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতার ৩ ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে 'দলেরই প্রার্থী'! বিড়ম্বনা বাড়ছে ঘাসফুলে
রাজ্য পুলিশ, প্রশাসনের সঙ্গে এই সিদ্ধান্তের ফলে সংঘাত তৈরি হওয়া নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কোনও অসন্তোষ করেছিল কিনা, তার বিস্তারিত জানতে চান তাঁরা। এছাড়াও রাজ্যগুলির তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কিনা বা সেই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কী ভাবছে তাও জানতে চান তিন সাংসদ। লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, "পশ্চিমবঙ্গ এবং পাঞ্জাব সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, রাজ্য সরকারের ক্ষমতার ওপর হস্তক্ষেপ করা হবে। তাদের সেই উদ্বেগ ভিত্তিহীন। বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধির ফলে, সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় অপরাধ দমনে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আরও বেশি করে সংযোগ ও সমন্বয়ের সঙ্গে কাজ করতে পারবে।"
আরও পড়ুন: বিজেপিতে বিদ্রোহী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়! তিস্তা বিশ্বাসের মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক দাবি!
গত ১১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিএসএফের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয় পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং পাঞ্জাবে। এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সীমানা থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় নজরদারির ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয় বিএসএফের হাতে। আগে এই এলাকার পরিমাণ ছিল মাত্র ১৫ কিলোমিটার। অর্থাৎ তিনগুণেরও বেশি পরিমাণ এলাকা কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়ার কথা জানায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যে তিনটি রাজ্যের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তারমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাবে রয়েছে তৃণমূল ও কংগ্রেসের সরকার। একমাত্র অসমেই বিজেপি সরকার রয়েছে। শুরুতেই বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলে পাঞ্জাব এবং বাংলা। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।