প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা চলার পর প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা ভেস্তে গিয়েছে৷ তার পরেই এই মন্তব্য করলেন তৃণমূলনেত্রী৷
আরও পড়ুন: মমতাকে চিঠি দিতেই দিল্লিতে ডাক পড়ল অর্জুনের! বাড়িতে নৈশভোজে ডাকলেন পীযূষ গয়াল
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের খারাপ ফলের পর থেকেই দলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর সংস্থা আইপ্যাক৷ ২০২১ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূলের ক্ষমতায় ফেরার বড় কৃতিত্বও প্রশান্ত কিশোরকে দেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷ ভোটগুরু পিকে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসে যোগ দিলে তৃণমূল বা অন্য দলের হয়ে তিনি কাজ করতেন কি না, সেই প্রশ্নও উঠছিল রাজনৈতিক মহলে৷ কিন্তু প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগদানের জল্পনা শেষ হতেই এই সমস্ত প্রশ্নেও ইতি পড়েছে৷
advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এ দিনের সাক্ষাৎকারে স্বীকার করে নিয়েছেন, প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে যোগ দিলে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ থাকবে কি না, তা নিয়ে দলের সিনিয়র নেতারাও কৌতূহলী হয়ে উঠেছিলেন৷ মমতা অবশ্য দাবি করেছেন, তখনও দলের ওই নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে তৃণমূলের সঙ্গেই থাকবেন প্রশান্ত কিশোর৷
আরও পড়ুন: দিল্লিতে মমতা-কেজরিওয়াল সাক্ষাৎ! এক ঘণ্টার বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা? জল্পনা তুঙ্গে
মমতা বলেন, 'প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা নিয়ে আমাদের দলের অন্দরেও মতপার্থক্য ছিল৷ কিন্তু প্রত্যেককেই জানিয়ে দেওয়া হয় ভোট কুশলী হিসেবে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে দল৷'
বিধানসভা নির্বাচন মেটার পরেও তৃণমূলের হয়ে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে যথেষ্ট সক্রিয় থেকেছেন প্রশান্ত কিশোর৷ একদিকে যেমন অন্যান্য রাজ্যের হেভিওয়েট নেতাদের তৃণমূলে যোগদান করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর, ২০২৪-এর কথা মাথায় রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে বিরোধী জোট গঠনের প্রক্রিয়াতেও সাহায্য করেছেন পিকে৷ তৃণমূল- প্রশান্ত কিশোর সম্পর্ক যে অটুট থাকছে, এ দিন স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই৷