‘৯ অগাস্ট ভোররাতে সরকারি আরজি কর হাসপাতালের চত্বরে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের যে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, তা আমাদের সকলকে নাড়িয়ে দিয়েছে।’ মহুয়া বলেন, ‘এই ঘটনার পরে যন্ত্রণার যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সুরক্ষা নিয়ে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এবং রাস্তায় যে প্রতিবাদ চলছে, তা আমরা বুঝি। এই ভয়টা বাস্তব। এই নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা বাস্তব। এটা আমার বা আপনার সঙ্গেও হতে পারত। এটা যে কোনও মহিলার সঙ্গে হতে পারত। বাড়ি ছেড়ে রোজ আমরা আমরা যখন রোজ খাচ্ছি, তখন আমরা ন্যূনতম যে বিষয়টার আশা করতে পারি, সেটা হল যে কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা থাকবে। এটা নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। আর সেই উদ্বেগের কারণেই রাস্তায় প্রতিবাদ চলছে। আমরা সেটার প্রতি সম্মান জানাচ্ছি। আমরা তাঁদের পাশে আছি।’ সেইসঙ্গে কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষার দাবিতে চিকিৎসক এবং জুনিয়র ডাক্তাররা যে আন্দোলন করছেন, তাও ‘ন্যায়সংগত’ বলে দাবি করেছেন মহুয়া।
advertisement
একইসঙ্গে আরজি করে ঘটনা নিয়ে শাসকবিরোধী অপপ্রচার ও মিথ্যা প্রচার বন্ধ করার দাবি তোলেন মহুয়া। সতর্ক করে কৃষ্ণনগরের সাংসদ বলেন, এরকম একটি যন্ত্রণার মুহূর্তে অনেক ভিত্তিহীন খবর ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠছে যে প্রশাসনের তরফে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেইসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুয়ো এবং ভিত্তিহীন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ১২ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মহুয়া মৈত্রের দাবি, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাবতীয় পদক্ষেপ করেছেন। বাংলায় যাতে মহিলারা সুরক্ষিত থাকেন, সেজন্য সবরকমের পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আমাদের ‘লাপাতা লেডিস’, ‘গুঙ্গি গুড়িয়া’ বলে যে আক্রমণ করা হচ্ছে, তা পুরোপুরি রাজনৈতিক কারণে হচ্ছে। যে রাজনৈতিক আক্রমণের মুখে আমাদের আগেও পড়তে হয়েছে। সেটার বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করব।’
