এ দিন বেলা বারোটায় মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে জমা পড়া এথিক্স কমিটির রিপোর্ট সংসদে পেশ হয়৷ সেই সূত্র ধরে বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘বেলা ১২টায় রিপোর্ট সাংসদদের হাতে এসেছে৷ তার পর ২ টোর সময় আলোচনা শুরু হয়েছে৷ এখান ১২টার সময় বেরিয়ে, রিপোর্ট ডাউনলোড করতে আরও সময় গিয়েছে৷ সবমিলিয়ে ৪৯৫ পাতার রিপোর্ট৷ এত অল্প সময়ের মধ্যে কী করে কারও পক্ষে এত বড় রিপোর্ট পড়া সম্ভব? এই রিপোর্টে কোনও ভুল আছে কি না, তা কী করে বোঝা সম্ভব? এটা কোনও ছোটখাটো বিষয় নয়৷ এই সিদ্ধান্ত নতুন সংসদ ভবনে নজির হয়ে থাকবে৷ রিপোর্ট ভাল ভাবে পড়ে দেখার জন্য অন্তত তিন- চার দিন সময় দেওয়া হোক৷ তার পরই এ বিষয়ে যথাযথ আলোচনা হওয়া সম্ভব যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁকে তো আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া উচিত৷ এখানে মহুয়া মৈত্র অভিযুক্ত, তাঁকে অন্তত বলতে দিন৷৷’
advertisement
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মিলল না অব্যাহতি, অভিষেকের আবেদনে সাড়া দিল না সুপ্রিম কোর্ট
একই প্রশ্ন তুলে মণীশ তিওয়ারি বলেন, তিন চার দিন সময় দিলে আকাশ ভেঙে পড়ত না৷ স্বাভাবিক ন্যায়বিচার প্রক্রিয়াতেও অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়৷ এখানে মহুয়া মৈত্র অথবা তাঁর আইনজীবী তো সেই সুযোগ পেলেন না৷ সবথেকে বড় কথা, এথিক্স কমিটি শুধুমাত্র কেউ দোষী কি নির্দোষ তা বলতে পারে, কিন্তু কোনও সদস্যকে বহিষ্কার করার সুপারিশ এথিক্স কমিটি করতে পারে না৷
অধ্যক্ষ ওম বিড়লা অবশ্য শুরুতেই বলেন, ‘আমি সবসময় চেষ্টা করি কোনও সদস্যকে যেন বহিষ্কার করতে না হয়৷ কিন্তু সংসদের গরিমা, সম্মান সবার উপরে৷’