২০১৯ সালে উত্তর প্রদেশের প্রথম কেন্দ্রীয় ল্যাক্টেশন ম্যানেজমেন্ট সেন্টার (CLMC) হিসেবে চালু হওয়ার পর থেকে, এই ব্যাঙ্কে ১,০৩৯ জন মা স্তনদুগ্ধ দান করেছেন৷ যেখানে ২৬,৭৯২ জন মা পেশাদারদের কাছ থেকে স্তন্যপান করানোর নির্দেশিকা পেয়েছেন। দান করা দুধ সাবধানে সংগ্রহ, পরীক্ষা, সংরক্ষণ এবং হাসপাতালের NICU এবং SNCU-তে ভর্তি নবজাতকদের দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : কোন ভিটামিনের অভাবে কমে যায় স্তনদুগ্ধ? Breast Milk বাড়াতে কী কী খাবেন? জানুন
অনেক মহিলা প্রসবের পরে স্তন্যপান করানোর ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হন, যার ফলে দাতার দুধ তাঁদের নবজাতকদের জীবন রক্ষাকারী বিকল্প হয়ে ওঠে। এই উদ্যোগে রাজ্যের নবজাতক মৃত্যুর হার হ্রাসের ক্ষেত্রেও অবদান রেখেছে।
স্তনদুগ্ধের উপকারিতা
-রক্ত সংক্রমণের ঝুঁকি ১৯ শতাংশ এবং পেটের সংক্রমণের ঝুঁকি ৭৯ শতাংশ কমায়।
-ডায়রিয়া, বমি এবং পেটের সমস্যা কমায়।
– মানসিক ও শারীরিক বিকাশে সহায়তা করে
-হাসপাতালের থাকার সময় কমিয়ে দেয়
– মেটাবলিক সিনড্রোমের মতো জটিলতা কমায়
আরও পড়ুন : সন্তানের পাশাপাশি নিজের মঙ্গলের কথা ভেবেও ব্রেস্ট ফিডিং করাতে হবে নতুন মায়েদের
স্তনদুগ্ধ দানের নিয়মাবলী
– দাতা মায়েদের অবশ্যই তাঁদের নিজেদের সন্তানকে স্তন্যপান করাতে হবে এবং লিখিত সম্মতি দিতে হবে।
-দাতাদের কোন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় না
– দুধ শুধুমাত্র NICU/SNCU-তে হাসপাতালে ভর্তি নবজাতকদের জন্য ব্যবহার করা হয় এই ব্যাঙ্কের দুগ্ধ।
কারা দান করতে পারে না
-তামাক বা গুটকা ভোক্তারা
– গত তিন মাসের মধ্যে রক্তদান করা মায়েদের
-যারা ক্যানসার প্রতিরোধী ওষুধ খাচ্ছেন
– এইচআইভি, টিবি, বা হেপাটাইটিস আক্রান্ত রোগীরা
– শরীরে ট্যাটু আঁকা মায়েরা
নবজাতক যাদের দাতার দুধের প্রয়োজন
-১,৫০০ গ্রামের কম ওজনের শিশু
– জন্মাবধি অনাথ শিশুরা
– যেসব শিশুর মা সন্তানকে স্তন্যপান করাতে অক্ষম অথবা গুরুতর অসুস্থ