“একজন মানুষ একজন মানুষই; কোনও একটি কাজ, আসলে একটি কাজই’ কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি এম নাগপ্রসন্নের (M Nagaprasanna) একক বিচারকের বেঞ্চ বলেছে, যে কোনও ধর্ষণই ধর্ষণ, সে ধর্ষক 'স্বামী'ই হোক বা অন্য কেউ।
আরও পড়ুন: কোভিডের পর স্কুল খুলতেই অসুস্থ পড়ুয়ারা, দেখুন কী হল...
যদিও আদালত স্পষ্টভাবে বৈবাহিক ধর্ষণের ব্যতিক্রমকে স্ট্রাইক করেনি, তবে অভিযুক্ত ওই স্বামীকে ধর্ষণের অভিযোগের জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে বাধ্য করেছে। একটি ট্রায়াল কোর্টে ৩৭৬ (ধর্ষণ) ধারায় অপরাধী ঘোষিত হওয়ার পর ওই ব্যক্তি হাই কোর্টে গিয়েছিলেন।
advertisement
আইপিসি ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে যে, আঠারো বছরের উর্ধ্বে কোনও মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হলে সেই ঘটনাকে ধর্ষণ বলা যাবে না।
আরও পড়ুন: রাজনীতি থেকে বিদায় নেবে আপ যদি... কী হলে এমন সিদ্ধান্ত! বিস্ফোরক কেজরিওয়াল
২০১৮ সালে, গুজরাত হাই কোর্টে অনুরূপ একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেবার এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর আনা ধর্ষণের অভিযোগ অপসারণের জন্য এফআইআর বাতিল করার দাবি জানিয়েছিলেন।
বৈবাহিক ধর্ষণের সাংবিধানিকতা নিয়ে বর্তমানে দিল্লি এবং গুজরাত হাই কোর্ট বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। বর্তমান কেসে বিচারপতি নাগপ্রসন্ন জানিয়েছেন "বিবাহের মতো প্রতিষ্ঠান কোনও পুরুষকেই পাশবিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি প্রদান করে না, প্রদান করতে পারে না। আমার দৃষ্টিতে, এর জন্য যে কোনও পুরুষের শাস্তি পাওয়া উচিত, সে যদি মহিলার স্বামীও হন তবেও এই শাস্তি তাঁর প্রাপ্য।”
১১ বছরের বিবাহিত জীবনের পর গত ২০১৭ সালের মার্চ মাসে এক স্ত্রী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে একটি শিশুর যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। ২০১৮-তে বেঙ্গালুরু পুলিশ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধের তাঁর স্ত্রীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পিটিশন দাখিল করে।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীর দ্বারা আনা অভিযোগে ধর্ষণ, অস্বাভাবিক যৌনতা এবং বৈবাহিক হিংস্রতার অভিযোগের তদন্তের পরে, পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারায় ধর্ষণ, যৌতুক হয়রানি, মহিলার উপর অত্যাচার (আইপিসি ৩৭৬, ৪৯৮এ, ৩৫৪) এবং শিশুর বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের জন্য POCSO আইনের অধীনে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
পরে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের সম্পর্কের ভিত্তিতে কোনও স্ত্রী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করতে পারেন না এমন চার্জশিট নিয়ে হাই কোর্টে যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাই কোর্ট স্ত্রীর পক্ষেই রায় প্রদান করেছে।
