এদিন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে আগামী অক্টোবরে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বদলের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এটা হাইকম্যান্ডের হাতে রয়েছে৷ এখানে কেউ জানে না হাইকম্যান্ড কী ভাবছে৷ এটা হাইকম্যান্ডের ব্যাপার৷ তাদেরই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে এর পরে কী হবে৷ কিন্তু, অপ্রয়োজনে কোনও সমস্যা তৈরি করার দরকার নেই৷’’
advertisement
গোটা দায়ভার তথাকথিত ‘হাইকম্যান্ডের’ উপরে চাপিয়ে ফের বিজেপি সহ বিরোধীদের কটাক্ষের শিকার হয়েছেন খাড়্গে৷ দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য ব্যঙ্গের সুরে লিখেছেন, ‘‘কংগ্রেসের হাইকম্যান্ডটা ঠিক কে? ব্যাপারটা অনেকটা ভূতের মতো৷ দেখা যায় না, শোনা যায় না, কিন্তু অস্তিত্ব যে আছে সেটা টের পাওয়া যায়৷ এমনকি, মানুষ যাকে হাইকম্যান্ড ভাবে, সেই কংগ্রেস সভাপতিও বলছেন, তিনি নাকি হাইকম্যান্ড নন৷’’ এক্ষেত্রে, গান্ধি পরিবারের নেতৃত্বের দিকেই আঙুল তুলেছে বিজেপি৷
গত রবিবার কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়ক এইচএ ইকবাল হুসেন দাবি করেছিলেন, উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারকে আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দেওয়া হতে পারে৷
২০২৩ সালে কর্ণাটকে সরকার গড়ার সময়েই মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা দেখা দিয়েছিল পার্টির প্রবীণ সদস্য সিদ্দারামাইয়া ও গান্ধি পরিবারের বিশেষ করে সনিয়া গান্ধির ‘কাছের লোক’ ডি কে শিবকুমারের৷
আরও পড়ুন পুলিশের হাতে এবার জাইবের CCTV ফুটেজ! ঘটনার মাঝেই কলেজের বাইরে…মিলিয়ে দেখা হচ্ছে সব
শোনা যায়, সেই পর্যায়ে ডি কে শিবকুমারকে ব্যক্তিগতভাবে প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে আসার আবেদন করেছিলেন সনিয়া গান্ধি৷ ‘হাইকম্যান্ডের’ এক কথায় চোখের জলে ছেড়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়৷
তবে কানাঘুষো শোনা যায়, সেই সময় নাকি রফা হয়েছিল, সিদ্দারামাইয়া আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, তার পরে বাকি আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রী হবেন ডি কে শিবকুমার৷ তবে এই রফার কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি৷