রায় ঘোষণাকালে, ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানায়, ৩৭০ ধারা অস্থায়ী ছিল৷ তা বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে রাষ্ট্রপতির। জম্মু ও কাশ্মীর সার্বভৌম ভারতের অন্যান্য রাজ্যের থেকে আলাদা নয় বলে এদিন মন্তব্য করে দেশের শীর্ষ আদালত৷
এদিনের রায় ঘোষণার পরেই মোদি মন্ত্রিসভায় কার্যত জয়ের পরিবেশ৷ এবিষয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সুপ্রিম কোর্টের এদিনের রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছেন মোদি৷ লিখেছেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের ভাইবোনেদের কাছে এই রায় আশার আলো৷ উন্নয়ন এবং ঐক্যের বার্তাবাহী৷’
advertisement
আরও পড়ুন: মোদির গীতাপাঠ! ২৪ ডিসেম্বরে টেট কি আদৌ হবে? হাইকোর্টে গেলেন দিলীপ ঘোষ
জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে মোদির আশ্বাস, ‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তাঁদের সমস্ত স্বপ্ন পূরণ করবে৷’ শীর্ষ আদালতের এদিনের রায় কোনও সাধারণ রায় নয়, তাঁর কথায়, ‘এই রায় একটা আশার আলো, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি দেয়৷ এক শক্তিশালী, অখণ্ড ভারত গড়ার আমাদের যে সম্মিলিত সংকল্প, এই রায় তারই প্রমাণ’।
২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যের স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার৷ জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷
এ দিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, জম্মু কাশ্মীরকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদানকারী সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের যে সিদ্ধান্ত সংসদ এবং রাষ্ট্রপতি নিয়েছিলেন, তা বৈধ৷ এই সিদ্ধান্তের পিছনে কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না বলেও জানায় সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ৷ পাশাপাশি, শীর্ষ আদালত এ দিন স্পষ্ট করে দেয় যে, জম্মু কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ৷ ফলে গোটা দেশের জন্য যে সাংবিধানিক আইন রয়েছে, তা জম্নু কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে৷ কারণ, ভারতে মিশে যাওয়ার পর জম্মু কাশ্মীরের আর নিজস্ব কোনও সার্বভৌমত্ব নেই বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়৷