নেদারল্যান্ডসের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষ্যাৎকার দেওয়ার সময় জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘এই (হামলা) পর্যটনের ক্ষতি করার এবং ধর্মীয় বিভেদ তৈরি করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। আর… পাক সেনাপ্রধান তো আছেনই, যিনি চরমপন্থী ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা চালিত হন… তাই কেউ কেউ (তাঁর) মতামতের সাথে নিজেকে একাত্ম মনে করতে পারেন…৷’’
পহেলগাঁও হামলার এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে, ১৬ এপ্রিল, পাক সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির কাশ্মীর ইস্যুতে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন৷ বলেছিলেন, ‘‘কাশ্মীর হল ভারতের যুগুলার ভেইন৷’’ তিনি দুই দেশ তত্ত্বের সমর্থনেও কথা বলেছিলেন সেদিন, যে তত্ত্ব স্বাধীনতা পরবর্তী দেশভাগের জন্য দায়ী৷ এছাড়াও, পাকিস্তানের নাগরিকদের তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন, যাতে তাঁরা তাঁদের সন্তানকে শেখান যে, ‘‘তারা হিন্দুদের থেকে আলাদা৷’’
advertisement
চলতি মাসের শুরুতে যখন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, কেন্দ্রীয় বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি সরাসরি পহেলগাঁও হামলার সাথে ‘পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্য’কে কারণ হিসাবে যুক্ত করেছিলেন।
ডাচ মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময়, জয়শঙ্কর জানান যে, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের এক শ্যাডো জঙ্গি গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় গোয়েন্দাদের নজরে ছিল। সেই গোষ্ঠী পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করে৷ ভারতও জঙ্গিদের চিহ্নিত করে৷
তিনি বলেন, ‘‘টিআরএফ অনেক দিন ধরেই আমাদের নজরে ছিল। আমরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি রাষ্ট্রপুঞ্জের নজরে এনেছি৷” তিনি জানান, ভারতের কাছে টিআরএফের সাথে হাফিজ সইদের লস্কর-ই-তৈবার সংযোগের স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে এবং ভারত তাদের কম্যান্ড সেন্টার এবং অবস্থান সম্পর্কে অবগত। তিনি বলেন, ‘‘আমরা জানি কম্যান্ড সেন্টারগুলো কোথায় – এবং ৭ মে আমরা সেই জায়গাগুলোকেই লক্ষ্য করেছিলাম।”
তিনি ভারতের অপারেশন সিঁদুরের কথা উল্লেখ করে বলেন, ভারত যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে চলে ‘অপারেশন সিঁদুর’ সেই কথা স্পষ্ট করে দিয়েছে৷