সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিকীকরণের এক প্রচেষ্টায়, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ১৯৫৬.৬৩ আরকেএম (রুট কিলোমিটার)-এর বৈদ্যুতিকীকরণ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, যা শূন্য কার্বন নির্গমণ অর্জন করার লক্ষ্যের একটি অংশ হিসেবে সমগ্র নেটওয়ার্কের মোট ৪৩৪৮ আরকেএম-এর ৪৫%।
আরও পড়ুন: ৯ দিন ধরে উত্তরাখণ্ডের টানেলে আটকে শ্রমিকরা! দুর্ঘটনাস্থলে আর্ন্তজাতিক বিশেষজ্ঞ
advertisement
উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে এখনও ২৩৯১.৩৮ কিমি অবশিষ্ট রুটের বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ করা হবে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের মোট বৈদ্যুতিকীকরণ রুটের মধ্যে অসমের ৯১০.৪৫ কিমি, মেঘালয়ের ৯.৫৮ কিমি এবং নাগালেণ্ড-এর ৬ কিঃমিঃ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে।
এছাড়াও, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধিক্ষেত্রের অন্তর্গত বিহারে ২৮৫.৮৭ কিমি ও পশ্চিমবঙ্গে ৭৪৪.৭২৬ কিমি বৈদ্যুতিকীকরণ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে।
সম্প্রতি, অসমে বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের তিনটি সেকশন পরিদর্শন করা হয়েছে। সেকশনগুলি হলো বদরপুর-শিলচর (২৯.৬০ আরকেএম), বদরপুর-বারইগ্রাম (৪১.৭৭ আরকেএম) এবং বারইগ্রাম-দুল্লভছড়া (২৭.০০ আরকেএম)।
বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ আরও দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করার জন্য ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (ইরকন), রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিস (রাইট্স), এনএফআর/কনস্ট্রাকশন এবং সেন্ট্রাল অর্গানাইজেশন ফর রেলওয়ে ইলেকট্রিফিকেশন (কোর), উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ পর্যায় ক্রমিকভাবে কার্যকর করছে।
বৈদ্যুতিকীকরণের ফলে এনএফআর-এর মধ্যে ট্রেন চলাচলের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে রেল নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হবে। অতিরিক্তভাবে ফসিল ফুয়েল থেকে বৈদ্যুতিকে রূপান্তরিত হওয়ায় দূষণ হ্রাস পাবে, রেলওয়ের আর্থিক কর্মদক্ষতারও উন্নতি ঘটবে। এছাড়াও বৈদ্যুতিকীকরণের ফলে ট্রেনগুলির সুগম চলাচলে সুবিধা হবে এবং ট্রেন চলাচলের সময়ানুবর্তিতার পরিণামে ট্রেনগুলির গড় গতিও বৃদ্ধি পাবে।