কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে পূর্ব ভারতের সঙ্গে সংযুক্তকরার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে, যার ফলে যাত্রীদের চলাচল সুগম হয় তথা যে রাজ্যগুলি দিয়ে ট্রেনটি চলাচল করেসেগুলির মধ্যে আর্থ-সামাজিক একীকরণকে উৎসাহিত করে। প্রচলিত আইসিএফ কোচের পরিবর্তে আধুনিক লিঙ্ক হফম্যান বুশ (এলএইচবি) কোচপ্রবর্তন রেলওয়ের আধুনিকীকরণে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।
advertisement
এই অত্যাধুনিক কোচগুলি উন্নত সুরক্ষা সুবিধা-সহ সজ্জিত, যার মধ্যে অ্যান্টি-টেলিস্কোপিক ডিজাইন রয়েছে যা সংঘর্ষের সময় প্রভাব কমিয়ে দেয়। উন্নত সাসপেনশন সিস্টেমের জন্য যাত্রীদের উন্নত আরাম প্রদান করে যাঅধিক সুগম এবং স্থিতিশীল যাত্রা নিশ্চিত করে। তারোপরি, এলএইচবিকোচগুলি উচ্চ গতিসম্পন্ন এবং নান্দনিকভাবে পরিশীলিত অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্যগুলি বহন করে, যা ভ্রমণ দক্ষতা এবং সামগ্রিক যাত্রী অভিজ্ঞতা উভয়ই বৃদ্ধি করে।
নতুন প্রবর্তিত এলএইচবি রেকগুলিতে পাঁচটি এসি ৩-টায়ার কোচ, একটি এসি ২-টায়ার কোচ, নয়টি স্লিপার ক্লাস কোচ এবং চারটি জেনারেলসিটিং কোচ থাকবে, যা বিভিন্ন শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য সুষম আবাসন ক্ষমতা নিশ্চিত করবে।
আরও পড়ুন: বিবাহবার্ষিকীর দিনেই সুখবর দিলেন রাজকুমার রাও-পত্রলেখা! পুত্র নাকি কন্যা, কে এল ঘরে? জেনে নিন
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপটি ভারতীয় রেলওয়ে দ্বারা তার যাত্রী পরিষেবাগুলিতে বিশ্বমানের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা প্রদানের অব্যাহত প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে। রোলিং স্টকের আধুনিকীকরণের মাধ্যমে, ভারতীয় রেল তার যাত্রীদের পরিবর্তিত চাহিদা এবং প্রত্যাশা পূরণের পাশাপাশি ভ্রমণের সামগ্রিক মানউন্নত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে নতুনএলএইচবি রেক চালু করা কেবল একটি আপগ্রেডই নয়, বরং রেল পরিষেবায় উৎকৃষ্টতা এবং উদ্ভাবনের প্রতি ভারতীয় রেলের নিষ্ঠার একটি স্পষ্ট প্রদর্শন। প্রসঙ্গত উত্তর পূর্ব ভারতে বেশ কয়েকটি দূর্ঘটনার পরে LHB রেকের প্রয়োজনীয়তা নানা আলোচনা হয়। অবশেষে কাঞ্চনজঙ্ঘার মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন LHB রেক পেতে চলেছে।
