বিহারে বিজেপির জয়ের নেপথ্যে রয়েছে বড় পরিকল্পনা! জুন মাস থেকে সবটা জেনে নিন
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
বিহার বিধানসভাও তার ব্যতিক্রম নয়। ভোটের বহু আগেই বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি হয়েছিল। জুন মাস থেকেই ভোটারদের কাছে পৌঁছনোর কাজ শুরু হয়, এবং বিজেপি যে ১০১টি আসনে লড়েছে—প্রতিটি আসনেই সেই প্রচার চালানো হয়। বিশেষ দিক হল, প্রতিটি ভোটারের সঙ্গে একবার নয়, তিনবার যোগাযোগ করা হয়।
advertisement
1/12

নীতীশ–বিজেপির এনডিএ, না তেজস্বী–রাহুলের মহাজোট—বিহারের রায় কোন শিবিরের দিকে যাবে, সেই প্রশ্নেই চোখ রাখছিল দেশ। প্রত্যাবর্তন না পরিবর্তন—আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিহারের কুর্সি কার দখলে থাকবে, শুক্রবার সকাল থেকেই সেই দিকেই নজর ছিল সকলের। তবে সময় যত গড়িয়েছে, ছবিটা ততই পরিষ্কার হয়েছে—বিহারে ফিরছে নীতীশ রাজই। কিন্তু কী ভাবে এই জয় সম্ভব হল বিজেপির? সবটাই কি পরিকল্পনামাফিক? সমীক্ষা বলছে, ‘বুথ পালিশ’ থেকে ভোটার ট্র্যাকিং—এই ভাবেই বিহারে জয় নিশ্চিত করল বিজেপি।
advertisement
2/12
এনডিএ জোটের নিরঙ্কুশ জয়কে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, "রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) 'কাট্টা সরকার' আর কখনও রাজ্যে ফিরে আসবে না। যখনই আমি জঙ্গলরাজ এবং কাট্টা সরকার সম্পর্কে কথা বলতাম, তখন আরজেডির পক্ষ থেকে কোনও বিরোধিতা করা হয়নি, তবে কংগ্রেস আহত হত।" মোদি আরও বলেন, ‘‘বিহারের জয় বিরাট জয়। বিহারে কংগ্রেস আর ফিরবে না।’’ এম আর ওয়াই ফর্মুলায় বিহারে জয় হয়েছে বলেন তিনি। ‘এম’ বলতে মহিলা এবং ‘ওয়াই’ বলতে যুব সমাজকে বুঝিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
advertisement
3/12
রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই জয়ের আড়ালে রয়েছেন অসংখ্য কর্মী, যাঁদের সাংগঠনিক পরিশ্রম নিশ্চিত করেছে যেন কোনও কিছুই ফাঁক না থাকে। বুথ ম্যানেজমেন্ট দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম শক্তি—২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের পর থেকে যা নিখুঁতভাবে গড়ে তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একের পর এক নির্বাচনে এই মডেল বিজেপিকে ধারাবাহিকভাবে সাফল্য এনে দিয়েছে।
advertisement
4/12
বিহার বিধানসভাও তার ব্যতিক্রম নয়। ভোটের বহু আগেই বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি হয়েছিল। জুন মাস থেকেই ভোটারদের কাছে পৌঁছনোর কাজ শুরু হয়, এবং বিজেপি যে ১০১টি আসনে লড়েছে—প্রতিটি আসনেই সেই প্রচার চালানো হয়। বিশেষ দিক হল, প্রতিটি ভোটারের সঙ্গে একবার নয়, তিনবার যোগাযোগ করা হয়।
advertisement
5/12
জুনে: দলের নেতারা বাড়ি বাড়ি যান, মোদি সরকারের সাফল্য এবং সেগুলি কীভাবে বিহার সরকারের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে—তা ব্যাখ্যা করে বুকলেট বিলি করেন।
advertisement
6/12
সেপ্টেম্বরে: একই নেতারা ফের সেই ভোটারদের কাছে যান, তাঁদের প্রশ্নের জবাব দেন এবং কীভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির সুফল পাওয়া যায়—তা জানান।
advertisement
7/12
টিকিট ঘোষণা হওয়ার পর: প্রার্থী এবং স্থানীয় কর্মীরা আবারও ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, সমর্থন ধরে রাখা এবং সংগঠিত করার লক্ষ্যে।
advertisement
8/12
ভোটের দিন যত এগোয়, বিজেপি যে যে কেন্দ্রে লড়েছে, প্রতিটি কেন্দ্রেই অ্যাসেম্বলি-লেভেল ওয়ার রুম তৈরি হয়। সেগুলি সবই যুক্ত ছিল একটি কেন্দ্রীয় ওয়ার রুমের সঙ্গে, যার ওপর থেকে নজর রাখছিলেন শীর্ষ নেতৃত্ব।
advertisement
9/12
প্রতিটি বুথে দু’জন করে কর্মী মোতায়েন করা হয়—ফলে ২৮,০০০-এর বেশি বুথ কার্যত সম্পূর্ণভাবে সামলে নেয় দল। ভোটের আগের কয়েক দিনে স্বেচ্ছাসেবকেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবারগুলিকে একসঙ্গে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান।
advertisement
10/12
ভোটের দিন প্রতিটি ভোটের ওপর নজর রাখা হয়। প্রযুক্তির সাহায্যে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বুথ-ভিত্তিক ভোটদানের তথ্য আপডেট হয়। কোথাও পিছিয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকদের জানিয়ে সেই এলাকার সম্ভাব্য ভোটারদের উৎসাহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
advertisement
11/12
কেন্দ্রীয় ওয়ার রুমে ৩০০-র বেশি কর্মী সারাক্ষণ কাজ করেছেন। প্রতি ঘণ্টা তথ্য আপডেট হয়েছে, এবং শীর্ষ সাংগঠনিক নেতৃত্ব প্রতিটি খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করেছেন যেন ভোটদানের হার সর্বাধিক হয়।
advertisement
12/12
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার মতো নেতারা বড় বড় সভার দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি, আরও বহু নেতা এবং তারা-প্রচারককে বিজেপি ও এনডিএ-র বিভিন্ন আসনে পাঠানো হয়েছিল যাতে সামগ্রিক প্রচার আরও শক্তিশালী হয়।