কৃষক হোক বা সাধারণ মানুষ, সবাই কৃত্রিম বৃষ্টির সুফল পাবেন। বুন্দেলখন্ড এবং লখনউ-এর খরা-প্রবণ এলাকায় দূষণ কমাতেও IIT কানপুর সাহায্য করবে। গত বুধবার আইআইটিতে এই কৃত্রিম মেঘের প্রথম পরীক্ষা হয়।
গত সোমবার ডিজিসিএ-র অনুমতির পর পাঁচ হাজার ফিট উপরে কৃত্রিম বৃষ্টির পরীক্ষা চালায় আইআইটি। এতে আইআইটি তার নিজস্ব প্লেনের মাধ্যমে ক্লাউড সিডিং পরীক্ষা করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন- এ দেশেই আছে আমেরিকান মার্কেট! সস্তায় পাওয়া যায় কোন জিনিস? দেশি-বিদেশীদের ভিড়
বিমানটি প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ইনস্টিটিউটের উপর প্রদক্ষিণ করে। তবে সেখানে গত বুধবারও প্রাকৃতিক বৃষ্টি হওয়ায় এই বৃষ্টিতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন বিশেষজ্ঞরাও।
২০১৭ সাল থেকে আইআইটি কানপুরে ক্লাউড সিডিং প্রকল্প চলছে। এর পর ২০১৯ সালে করোনার কারণে প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আমেরিকা থেকে অনেক অ্যাটাচমেন্ট অর্ডার করতে হয়েছিল, যা করোনায় আসতে পারেনি।
কোভিডের পরে ইনস্টিটিউট আবার কাজ শুরু করে। সাফল্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছেছিল তারা। বিমানে লাগানো যন্ত্রের সাহায্যে সিলভার আয়োডাইড, শুষ্ক বরফ, সাধারণ লবণ মিশ্রিত রাসায়নিকগুলির মাধ্যমে ক্লাউড সিডিং করা হয়।
আরও পড়ুন- কোন দেশে সরকারি ছুটি সবথেকে বেশি, ভারতের স্থান কত নম্বরে, রইল প্রথম ১০-এর তালিকা
বিমানের ডানায় একটি ডিভাইস বসানো ছিল। তা দিয়ে আশেপাশের এলাকায় রাসায়নিক স্প্রে করা হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখনও বৃষ্টি নিয়ে সন্তুষ্ট নন। কারণ মেঘের ভিতর ক্লাউড সিডিং করা হয়নি। কিন্তু পরীক্ষা সফল হয়েছে।
এখন কানপুরের ইনস্টিটিউট ক্লাউড সিডিংয়ের জন্য প্রস্তুত। গত কয়েক বছর ধরে এই প্রচেষ্টা চলছে। প্রথমবার সেটি অনেকটাই সফল হয়েছে। চলতি সপ্তাহে যে ক্লাউড সিডিং পরীক্ষা করা হয়েছে তাতে বিজ্ঞানীরা বেশ সন্তুষ্ট।
আইআইটি কানপুরের এই আবিষ্কার ভারতে প্রথম। এই আবিষ্কার আগে চীনে করা হলেও এখন আইআইটি কানপুর এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা খুবই খুশি।
দিল্লি ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্বেগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। কারণ বহ জায়গায় খরার কারণে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অন্যদিকে ক্রমশ বেড়ে চলা দূষণ মানুষের জীবনের শত্রু হয়ে উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের উদ্বেগ দূর করতে এগিয়ে এল আইআইটি কানপুর।
ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মণীন্দ্র আগরওয়াল প্রায় ৫ বছর আগে এই নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তিনি ও তাঁর দল এই কাজ শুরু করে এখন সফল। মনে করা হচ্ছে, দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় যে বায়ুদূষণ হয় তাও কিছুটা ঠেকানো যাবে এই ক্লাউড সিডিং-এর মাধ্যমে। পরিস্থিতি বুঝে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানো হবে। দূষণ রুখতে যা কিছুটা হলেও সহায়তা করবে।