নিজের জামিনের আবেদনে, ৭৪ বছর বয়সী চন্দ্রন আদালতে অভিযোগকারী মহিলার কিছু ছবি তুলে ধরেন। সেই সব ছবি দেখে কোঝিকোড় দায়রা আদালত জানিয়েছে, ওই মহিলা ‘যৌন উত্তেজক পোশাক’ পরেছিলেন, তাই অভিযোগটি ভিত্তিহীন!
আরও পড়ুন- "ভারত জানতে চায়, দেশের জ্বলন্ত সমস্যায় নীরব কেন মোদি," আক্রমণ তৃণমূল কংগ্রেসের
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, “অভিযুক্তের জামিনের আবেদনের সঙ্গে যে ছবিগুলি দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে অভিযোগকারী নিজেই এমন পোশাক পরেছেন যা যৌন উত্তেজক। তাই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবেই ৩৫৪এ ধারাটি খাটে না।” আদালত আরও জানিয়েছে চন্দ্রনের বয়স ৭৪ এবং তিনি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী, তাই তিনি নিজে অন্য ব্যক্তির উপর জোর করতে পারেন না।
advertisement
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, “শারীরিক যোগাযোগ ছিল তা স্বীকার করেও এটা বিশ্বাস করা অসম্ভব যে ৭৪ বছর বয়সী এবং শারীরিকভাবে অক্ষম একজন ব্যক্তি বলপূর্বক অভিযোগকারীকে নিজের কোলে বসাতে পারেন।”
আরও পড়ুন- "ভারতে রোহিঙ্গাদের জন্য কোনও সুবিধার ঘোষণা নেই", মন্ত্রীর দাবি নস্যাৎ কেন্দ্রের
অভিযোগকারী মহিলার মতে, ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নন্দী বিচে একটি ক্যাম্পের আয়োজন করেছিলেন চন্দ্রন। মহিলার অভিযোগ, চন্দ্রন তাঁকে জোর করে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যান এবং অশালীনভাবে স্পর্শ করেন। পুলিশ চলতি বছরের ২৯ জুলাই চন্দ্রনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
চন্দ্রনের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই মামলাটি ‘মিথ্যা’ এবং ‘অভিযুক্তদের শত্রুদের বানানো’। ২০২০ সালে এই ঘটনা ঘটেছিল, তারপর মামলা দায়ের করতে কেন দুই বছরের বেশি সময় লেগেছিল সেই প্রশ্নও তুলেছেন চন্দ্রনের আইনজীবী।