পাখি যার ছায়াসঙ্গী, সেই ৩০ বছর বয়সি যুবকের নাম মহম্মদ আরিফ। তিনি উত্তরপ্রদেশের অমেঠী জেলার জামো ব্লকের বাসিন্দা। বছর খানেক হল তাঁর পরিবারে এক না-মানুষ অতিথির আগমন হয়েছে। আগে তিনি থাকতেন স্ত্রী, দুই সন্তান এবং বাবা মায়ের সঙ্গে। এখন পরিবারে যোগ হয়েছে সারস প্রজাতির এক পাখি। তাকে পরিবারের সদস্যের মতোই ভালবাসে অরিফের পরিবার।
advertisement
গত বছর অগাস্ট থেকে জমে উঠেছে আরিফ এবং সারসের অনাবিল বন্ধুত্ব। সে সময়ই সিকোনিডাই প্রজাতির এই পাখির সেবা শুশ্রূষা করে সারিয়ে তোলেন আরিফ। তার পর থেকে এক মুহূর্তের জন্যেও আরিফের সঙ্গ ছাড়েনি পাখিটি। রয়েছে তার পরিবারের এক জন হয়েই।
আরও পড়ুন : মূল্য ৯০ লক্ষ! মহার্ঘ্য মার্সিডিজ বেঞ্জ কিনলেন 'এমবিএ চাওয়ালা' প্রফুল্ল
কীভাবে দেখা হল পাখির সঙ্গে? আরিফ জানিয়েছেন, "আমি মাঠের পাশে পাখিটিকে পড়ে থাকতে দেখি। ওর একটা পায়ে আঘাত ছিল। আমি ওকে বাড়িতে নিয়ে এসে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করি। খাওয়ানোর পর খোলা আকাশে উড়িয়ে দিই। কিন্তু সে আবার ফিরে আসে আমাদের কাছে। আমাদের ছেড়ে কোনওদিন যেতেই চায়নি। তার পর থেকে আমাদের সঙ্গেই আছে। আমার সঙ্গে এতই গভীর বন্ধুত্ব, যেখানে আমি যাই, ও সঙ্গে যায়। "
আরও পড়ুন : এখনও পর্যন্ত ২৬ বিয়ে, মোট ১০০ বার বিয়ে করতে চান ৬০ বছরের এই পাকিস্তানি প্রৌঢ়
আরিফ জানান কোনওদিন পাখিটিকে খাঁচাবন্দি করা হয়নি। সারা দিন নিজের মতো ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু রাতে ঠিক ফিরে আসে নিজের বাসায়, মানে আরিফের বাড়িতে। মানুষ সারসের এই সরস বন্ধুত্ব মনে করিয়ে দেয় সত্যজিৎ রায়ের চিরসবুজ গল্প বৃহচ্চঞ্চুর কথা৷ যেখানে প্রাগৈতিহাসিক পাখির সঙ্গে তুলসিবাবুর বন্ধুত্ব, মনের টান আমাদের নিয়ে যায় সব পেয়েছির স্বপ্নজগতে৷