প্রতারিত তীর্থযাত্রীর নাম দীনেশ তিওয়ারি। পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি তীর্থ করতে কুরুক্ষেত্র এসেছেন। তাঁর ছোট ভাই বাসুদেবের ছেলে শুভম তিওয়ারি স্পেনে থাকেন। ৪ মে তাঁর কাছে ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে শুভম বলে পরিচয় দেয়। প্রথমে কাকার শরীরের খোঁজ খবর নেয়। তারপর জানায় সে একটা সমস্যায় পড়েছে। টাকার দরকার।
advertisement
কেন জিজ্ঞেস করতে ভুয়ো আত্মীয় বলে, এজেন্টকে টাকা দিতে হবে। এই কথা যেন কাকা কাউকে না জানায়। শুধু তাই নয়, পরিবারের লোকজন জানতে পারলে সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবে বলেও হুমকি দেয়। ঘুণাক্ষরেও সন্দেহ হয়নি দীনেশের। বরং আত্মহত্যার কথা শুনে তিনি ঘাবড়ে যান। বলে দেন, ঠিক আছে তিনি টাকা পাঠাবেন। সেই মতো একটা অ্যাকাউন্টে ৩ লাখ টাকা করে দুবার জমা করেন।
আরও পড়ুন New CEO of Twitter: কমছে বিপুল বিজ্ঞাপনের আয়, দায়িত্ব ছেড়ে ট্যুইটারে নতুন সিইও নিয়োগ এলন মাস্কের
দুদিন পর ফের শুভমের ফোন আসে। সে এবার জানায়, এজেন্ট আরও টাকা চাইছে। সেটা পাঠাতে হবে। এজেন্ট তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। তাই সে টাকা তুলতে পারছে না।
ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতেই ঘটনা পরিষ্কার: দীনেশ ফের ৫ লাখ টাকা দেন। তারপর আবার ৬ লাখ। ৯ মে ফের ‘ভাইপো’র ফোন আসে। এবার ৫ লাখ টাকা দাবি। সঙ্গে জানায় মোট ৩৪ লাখ টাকা দরকার। দীনেশ পুরো টাকাটাই পাঠিয়ে দেন। এদিকে ভাই বাসুদেব ফোন করেন দীনেশকে। ছেলেকে পাঠানোর জন্যে টাকা দরকার। তাই দাদার কাছ থেকে লোন হিসেবে ৮ লাখ টাকা চান তিনি। এতেই সন্দেহ হয় দীনেশের। তিনি গোটা ঘটনা খুলে বলেন ভাই বাসুদেবকে। তিনি তো অবাক। এবার সরাসরি ফোন যায় শুভমের কাছে। শুভম বলে, সে তো ফোনই করেনি। তখনই বোঝা যায়, বড় ভুল হয়ে গিয়েছে। প্রতারণার শিকার হয়েছেন দীনেশ। ঘটনা জানাজানি হতেই দীনেশ পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে।
