বাল ঠাকরে -উদ্ধব ঠাকরে
শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন সভাপতি বাল ঠাকরে ছিলেন মহারাষ্ট্রে একজন শক্তিশালী প্রভাবশালী নেতা। বাল ঠাকরে নিজস্ব কার্টুন সাপ্তাহিক ‘মারমিক’ শুরু করার আগে এবং হিন্দু ডানপন্থী ধর্মীয় দল শিবসেনা প্রতিষ্ঠার আগে কার্টুনিস্ট হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন। মহারাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি সংরক্ষণ এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষদের মহারাষ্ট্রে চাকরি দেওয়ার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে স্পষ্টবাদী ছিলেন তিনি। ২০১২ সালে বাবার মৃত্যুর পর পুত্র উদ্ধব ঠাকরে পিতার উত্তরাধিকার বহন করে শিবসেনার নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। শিবসেনা একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল থেকে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে মূলধারার রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- "সংবিধান নিছক কোনও বই নয়, এটি একটি ধারণা, প্রতিশ্রুতি": প্রধানমন্ত্রী মোদি
লালু যাদব- তেজস্বী এবং তেজ প্রকাশ
বিতর্ক ও আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব। লালু যাদব দু’বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এবং পাঁচ বছর রেলমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একাধিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে অভিযুক্ত এবং চতুর্থ পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় জেলেও গেছেন লালু। তেজস্বী এবং তেজ প্রতাপ যাদবও রাজনীতিতেই থেকেছেন। তেজস্বী যাদব বিহার বিধানসভায় বিরোধী দলের বর্তমান নেতা এবং এর আগে নীতীশ কুমার সরকারের বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। অন্যদিকে তেজ প্রতাপ যাদব ছিলেন বিহারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মুলায়ম সিং যাদব- অখিলেশ যাদব
মুলায়ম সিং যাদব এবং অখিলেশ যাদব উত্তরপ্রদেশের শক্তিশালী পিতা-পুত্র জুটি। মুলায়ম সিং সমাজবাদী পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পরপর তিনটি মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীও ছিলেন এবং বর্তমানে লোকসভার সাংসদ। মুলায়মের ছেলে অখিলেশ যাদব ২০১২ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে বাবা-ছেলের সম্পর্ক টালমাটাল হলে মুলায়ম যাদব ছেলেকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। পরে নিজের সিদ্ধান্ত বদল করেন এবং অখিলেশ দলের সভাপতি হন।
জওহরলাল নেহেরু-ইন্দিরা গান্ধি
স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জওহরলাল নেহেরু প্রচুর এবং অসংখ্য দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদি প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধিও রাজনীতির জগতে সুপরিচিত জাতীয় ব্যক্তিত্ব। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই স্বাধীন ভারতের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি।
রাজীব গান্ধি- প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, রাহুল গান্ধি
১৯৮৪ সালে মা ইন্দিরা গান্ধির হত্যার পর, বড় ছেলে রাজীব এই পদটি গ্রহণ করেন। ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯১ সালে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এক আত্মঘাতী বোমাহামলার শিকার হন তিনি। স্ত্রী সনিয়া তখন কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধি রাজীব গান্ধির সন্তান। রাজীব ও সনিয়ার ছেলে রাহুল এর আগে কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবন ২০০৪ সালে শুরু হয়েছিল যখন তিনি তাঁরই বাবার নির্বাচনী এলাকা আমেথি থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আরও পড়ুন- অগ্নিপথ 'দিশাহীন'! হাসপাতাল থেকেই বিক্ষোভকারীদের বার্তা দিলেন সনিয়া গান্ধি!
রাম বিলাস পাসওয়ান-চিরাগ পাসওয়ান
দলিত নেতা রাম বিলাস পাসওয়ানের ছেলে চিরাগ পাসওয়ান ২০১১ সালে ‘মিলে না মিলে হাম’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। বক্সঅফিসে সিনেমার চরম ব্যর্থতার পর ৩৫ বছর বয়সী রাজনীতিতে ফিরে আসেন। চিরাগ প্রথম লোক জনশক্তি পার্টির টিকিটে ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিহারের জামুই কেন্দ্রের নির্বাচনে জয়ী হন এবং ১৬ তম লোকসভায় নির্বাচিত হন।
মাধবরাও সিন্ধিয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
গোয়ালিয়রের শাসক সিন্ধিয়া রাজবংশের একজন বংশধর মাধবরাও জিবাজিরাও সিন্ধিয়ার পুত্র জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। একটি বিমান দুর্ঘটনায় তৎকালীন সাংসদ বাবার মৃত্যু হলে জ্যোতিরাদিত্যের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ২০০১ সালে। ২০০২ সালে তিনি বিজেপি প্রার্থী দেশ রাজ সিং যাদবকে পরাজিত করেন। ২০০৪, এবং ২০০৯ সালে তিনি এই আসনে পুনরায় নির্বাচিত হন। এরপর তাঁকে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের সচিব নিযুক্ত করা হয়। তিনি ২০১২ সালে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২০২১ সালে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসেন।