আরও পড়ুন- আস্থা ভোটের আগে বিরাট ঘোষণা উদ্ধব ঠাকরের! আওরঙ্গাবাদের নাম বদলে হল সম্ভাজিনগর
“উদ্ধব ঠাকরে আমাদের বলা কোনও কথাতেই গুরুত্ব দেননি। আমরা সকলেই দুঃখিত যে এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে আমরা আমাদের নেতার উপরও রেগে গিয়েছিলাম,” বলেন দলের শিন্ডে শিবিরের মুখপাত্র দীপক কেসরকার। তাঁর কথায়, এনসিপি এবং সঞ্জয় রাউতের কাজই ছিল প্রতিদিন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়া এবং কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ করা। একনাথ শিন্ডে এবং তাঁকে সমর্থনকারী ৫০ জন বিধায়ক, যাঁদের মধ্যে ৪০ জনই শিবসেনার, তাঁদের দাবি এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভাঙতে হবে উদ্ধব ঠাকরেকে৷
advertisement
দলের দাবি, তাঁরা আদর্শগতভাবে কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে খাপ খান না। তাই এই ‘অস্বাভাবিক’ জোট ভেঙে বিজেপির সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করতে হবে। আট দিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার পরে বুধবার সন্ধ্যায় শীর্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন উদ্ধব ঠাকরে। সুপ্রিম কোর্ট তার আগে রায় দেয় যে রাজ্যপালের নির্দেশ অনুসারে তাঁর সরকারকে আগামীকাল ফ্লোর টেস্ট করতে হবে।
আরও পড়ুন- "আপনি এখন সংখ্যালঘু": মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে স্পষ্ট বার্তা রাজ্যপালের
শিন্ডের বিদ্রোহের ১৫ জন বিধায়ক নিয়ে উদ্ধব ঠাকরে আদালতকে আস্থা ভোট বন্ধ করতে অনুরোধ করেন। প্রথমে সুরাটে এবং তারপরে গুয়াহাটিতে থাকার পরে বুধবার গোয়াতে উড়ে আসেন বিদ্রোহী বিধায়করা। শিন্ডের দল আদালতে ঘোষণা করে যে তাঁরাই আসল শিবসেনা এবং বিজেপির সঙ্গে তাঁরা নতুন করে জোট গড়তে চায়।
উদ্ধব ঠাকরে পদত্যাগ করায় এখন ফ্লোর টেস্টও বাতিল হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিস সরকার গঠনের দাবি করতে পারেন, শিন্ডে হতে পারেন উপমুখ্যমন্ত্রী।