কিন্তু এখানে নিয়ম আলাদা কেন? লোক মুখে শোনা যায় রাবণের শ্বশুর বাড়ি নাকি যোধপুরেই ছিল। রাবণের স্ত্রী রানি মন্দোদরী যোধপুরের রাজা মন্দোরের কন্যা। শোনা যায় রাবণ যখন লঙ্কা থেকে বিয়ে করতে এসেছিলেন তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন শ্রীমালী ব্রাহ্মণ। কিন্তু বিয়ে করে রাবণ চলে গেলেও শ্রীমালী ব্রাহ্মণ যোধপুরেই থেকে যান। সেই থেকেই রাবণ রাজের পুজো করেন তিনি। তারপর তাঁর বংশধরেরা। এখন একটা গোটা সমাজ তৈরি।
advertisement
আরও পড়ুন: চিনা আলোর দাপটে যেন প্রদীপের তলে অন্ধকার! বিক্রি নেই মাটির প্রদীপের! অভাবে শিল্পীরা!
এখানে কেউ রাবণ বধ দেখেন না। সকলে এই সময়টা রাবণরাজের পুজো করেন। ২০০৮ সালে একটি বিশাল মন্দির স্থাপিত হয়। সেখানে রাবণরাজের বিশাল মূর্তি আছে। পুজো করা হয় নিয়মিত। রাবণ রাজের শ্বশুরবাড়ি যোধপুরে। এই বিশ্বাসেই চলছে এখানকার মানুষ। বহু জায়গা থেকে এই সময় রাবণ পুজো দেখতে মানুষ আসেন যোধপুরে এই গ্রামে। এখানে লোকমুখে সারাক্ষণ শোনা যায় এই গল্প। রাবণের মৃত্যুর জন্য শোক পালন করেন এখানকার মানুষ জন। তাঁরা মনে করেন রাবণ একজন বড় ভক্ত এবং সঠিক রাজা ছিলেন। রাবণ রাজের মতো আর কেউ ছিলেন না বলেই ধারনা তাঁদের!