ওই সতর্কবার্তায় শিশুদের কাশির সিরাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সাবধানী হওয়ার জন্য চিকিৎসক এবং ওষুধ বিক্রেতাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ আরও বলা হয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশুদের কাশি নিজের থেকে কমে যায় এবং কোনও ওষুধের প্রয়োজন হয় না৷
শিশুদের অকারণ এবং ভুল কাশির সিরাপ খাওয়ানোর প্রবণতা আটকাতেই এই সতর্কবার্তা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷ ওই সতর্কবার্তায় কঠোর ভাবে বলা হয়েছে, কোনও ভাবেই দু বছরের নীচের শিশুদের কাশির সিরাপ দেওয়া উচিত নয়৷ ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রেও সাধারণত কাশির সিরাপ না দেওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷
advertisement
পাঁচ বছরের উপরের শিশুদের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ীই একমাত্র কাশির সিরাপ খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ চিকিৎসক ওষুধের যে ডোজ লিখে দেবেন, তা কঠোর ভাবে মেনে চলার জন্য বাবা-মায়েদের পরামর্শ দিয়েছে ডিজিএইচএস৷ এক্ষেত্রেও একটানা বেশি দিন শিশুদের কাশির সিরাপ না খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন: কাশির সিরাপে লুকিয়ে ছিল কোন বিষ, কেন মৃত্যু ১৪টি শিশুর? মধ্যপ্রদেশে গ্রেফতার চিকিৎসক
এর পাশাপাশি একাধিক ওষুধ মিশিয়ে না খাওয়ানোরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ডিজিএইচএস-এর সতর্কবার্তায়৷ কারণ এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা বাড়ে৷ তার বদলে শিশুদের বেশি করে জল খাওয়ানো এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশুদের সর্দি কাশি নিজের থেকে কমে যায়৷ তাই শিশুদের নিজে থেকে ওষুধ না দিয়ে শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই শিশুদের ওষুধ খাওয়ানোর জন্য বাবা মায়েদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷
গত কয়েকদিনে বিষাক্ত কোল্ডরিফ কাশির সিরাপ খেয়ে মধ্যপ্রদেশে ১৪টি এবং রাজস্থানে ৪টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ এই ঘটনার পরই গোটা দেশে শিশুদের কাশির সিরাপ খাওয়ানো নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷ এই বিপর্যয়ের পর মধ্যপ্রদেশের একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তামিলনাড়ুর যে সংস্থা এই বিষাক্ত ওষুধ তৈরি করেছিল, তাদের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার৷
কোল্ডরিফ নামে বিষাক্ত ওই কাশির সিরাপ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ওই ওষুধের ভিতরে ৪৮.৬ শতাংশ ডিয়েথাইলিন গ্লাইকল নামে একটি অত্যন্ত বিষাক্ত উপাদান রয়েছে৷ যা ১ শতাংশের কম থাকা উচিত৷ সরকারি আধিকারিকদের দাবি, শিশুরা তো বটেই, মাত্রাতিরিক্ত হারে ডিয়েথাইলিন গ্লাইকলের উপস্থিতির কারণে এই ওষুধ খেলে বড়দেরও প্রাণ সংশয় হতে পারে৷