রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি যেদিন এসেছে সেদিন থেকে বদলে গিয়েছে সামগ্রিক ছবি৷ অনলাইন শিক্ষাতেই অভ্যস্ত হচ্ছে পড়ুয়ারা৷ কিন্তু অনলাইন শিক্ষা কখনই অফলাইন শিক্ষার বিকল্প হতে পারে না বলে দাবি সিসোদিয়ার৷ তিনি বলেন, যখন স্কুলগুলি শিশুদের জন্য নিরাপদ ছিল না তখন সরকার তা বন্ধ করে দিয়েছিল, কিন্তু অতিরিক্ত সতর্কতা এখন শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করছে।
advertisement
আরও পড়ুন : আসছে বৃষ্টি, তারপর কি ফিরবে শীত? বাংলার জন্য জরুরি পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
দিল্লি বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বা (DDMA) বৃহস্পতিবার একটি বৈঠক ডেকেছে যেখানে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিষয়ে আলোচনা করা হবে। স্কুল পুনরায় খোলার (School Opening) বিষয়টিও ভাবনা চিন্তার মধ্য়ে রয়েছে।
গত দু বছরে শিশুদের জীবন ঘরেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। খেলার মাঠ, বন্ধুদের সঙ্গে হইহট্টগোল এসবের পরিবর্তে, তাদের সমস্ত ক্রিয়াকলাপ এখন শুধুমাত্র মোবাইল ফোনে বন্দি৷ স্কুল বন্ধ হওয়ায় তাদের মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব পড়ছে। কোভিড পরিস্থিতিতে অগ্রাধিকার ছিল শিশুদের নিরাপত্তা। কিন্তু যেহেতু বিভিন্ন গবেষণায় এখন দেখা গেছে যে কোভিড শিশুদের জন্য তেমন ক্ষতিকর নয়, তাই স্কুল পুনরায় চালু করা গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন সিসোদিয়া৷ বেশ কয়েকটি দেশে এমনকি ভারতের অনেক রাজ্যে স্কুলগুলি আবার খোলা হচ্ছে। এই ভিত্তিতে, দিল্লি সরকার ২৭ জানুয়ারি নির্ধারিত বৈঠকে স্কুলগুলি পুনরায় খোলার সুপারিশ করবে৷ আবারও কলতানে মুখর হবে স্কুল৷ আবার ফিরে আসবে জীবন৷
এর আগে, চন্দ্রকান্ত লাহারিয়ার নেতৃত্বে অভিভাবকদের একটি প্রতিনিধিদল, সিসোদিয়ার সাথে দেখা করেন এবং স্কুলগুলি পুনরায় চালু (School Opening) করার দাবিতে ১৬০০ জনেরও বেশি অভিভাবকের স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি জমা দেন। সেখানে তাঁরও বক্তব্য ছিল, স্কুল বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷
অন্যদিকে করোনাভাইরাসের টিকা (Coronavirus Vaccine) নেওয়ার ক্ষেত্রে কিশোর কিশোরীদের (Teens) নিজেদের ইচ্ছাই চূড়ান্ত৷ কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী এর জন্য লিখিত বা মৌখিক কোনওভাবেই অভিভাবকদের (Parents) সম্মতির প্রয়োজন নেই, আগেই জানিয়েছেন ডঃ সচিন দেশাই (Dr. Sachin Desai)৷
আরও পড়ুন: তাঁর হাতেই নিষ্ফলা জমি রূপান্তরিত বনানীতে, পদ্মশ্রী পেতে চলেছেন ৭০ বছর বয়সি কৃষক
এই মুহূর্তে৷ দেশের কোথাও সম্পূর্ণভাবে স্কুল খোলেনি৷ পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই বন্ধ রাখা হচ্ছে স্কুলের দরজা৷ কিন্তু কিশোর-কিশোরীদের টিকা দেওয়ার আগে পিতামাতার সম্মতি চাওয়া নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে৷ স্কুল এবং কলেজ প্রাঙ্গণে ১৫-১৭ বছর বয়সীদের জন্য টিকা ঘোষণা করার পরে এই সমস্যাটি সামনে এসেছিল। স্কুলগুলির ধারণা,পড়ুয়াদের টিকা দেওয়ার আগে তাদের পিতামাতার লিখিত বা মৌখিক (Written or Oral) সম্মতি প্রয়োজন। কিন্তু তা যে একেবারেই ঠিক নয়, তা নিশ্চিত করেছেন ডাঃ দেশাই৷ তিনি জানান, স্কুলগুলি কোনওভাবেই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে সম্মতিপত্র (Consent Letter) আনতে বাধ্য করতে পারে না। নিয়মটি শুধুমাত্র স্কুল বা কলেজগুলিতেই প্রযোজ্য নয়, সমস্ত হাসপাতাল-ভিত্তিক টিকা কেন্দ্রগুলিতেও প্রযোজ্য৷ ফলে টিকা নিয়ে স্কুল খুললে কোনও সমস্যা থাকবে না৷
শুধু স্কুল নয়৷ রাজধানীতে অন্যান্য বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে কেজরি সরকার৷ তুলে নেওয়া হবে নাইট কার্ফু, আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে দিল্লি৷