এবার ২০২৫ সালের দিকে এগোনো যাক। সরকার এই নিয়মে সামান্য পরিবর্তন এনেছে এবং এই ধরনের যানবাহনে ফুয়েল ডিস্ট্রিবিউশনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এই নিয়মকে আরও কঠোর করা হয়েছে। পরে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসার পর এতে একটু বদল আনা হয়েছে। আর তাতে সরকার ডিজেল গাড়ির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা আংশিক ভাবে তুলে নিয়েছে।
advertisement
গাড়ি ফিরে পাওয়ার উপায়: আর এই সিদ্ধান্ত পুরনো গাড়ির মালিকদের জন্য স্বস্তি এনেছে তো বটেই! সেই সঙ্গে অনেকই হাত কামড়াচ্ছিলেন। কারণ অনেকেই চাপের মুখে পড়ে নিজেদের গাড়ি বিক্রি করে দিয়েছিলেন এবং লেটেস্ট নিয়মের আওতায় পড়ে অনেকের গাড়ি বাজেয়াপ্তও করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। এখন গাড়ি যদি বাজেয়াপ্ত করা হয় অথবা সেটা যদি নতুন মালিকের হাতে চলে যায়, তাহলে গ্রাহকের কী করণীয়? যাইহোক, চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। কারণ পুরনো সঙ্গী অর্থাৎ বাজেয়াপ্ত হওয়ার সাধের গাড়ি ফিরে পাওয়ার উপায় এখনও রয়ে গিয়েছে।
গাড়ি বাজেয়াপ্ত হলে কীভাবে তা ফিরে পাওয়া যাবে ? প্রথম বিষয়টাই হল – দিল্লি পরিবহণ দফতর পোর্টাল অথবা Vahan (বাহন) ওয়েবসাইটে গিয়ে গাড়ির স্টেটাস দেখে নিতে হবে। এর জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে।
১. বর্তমান স্টেটাস দেখার জন্য নিজের গাড়ির নম্বর এন্টার করতে হবে।
২. গাড়িটি কী অবস্থায় রয়েছে, অর্থাৎ এটি স্টোরে রাখা রয়েছে, না কি ভেঙে ফেলা হয়েছে, না কি নিলামে তোলা হয়েছে, সেটা দেখে নিতে হবে।
৩. যদি গাড়িটিকে সিজড ক্যাটাগরিতে দেখা যায়, আর সেটি যদি ভেহিকেল ইয়ার্ডে থাকে, তাহলে এর রিলিজের জন্য আবেদন করা যেতে পারে।
৪. আরটিও অথবা এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টে একটি রিক্যুয়েস্ট সাবমিট করতে হবে।
৫. পার্কিং অথবা ইয়ার্ডের চার্জের জন্য চার্জ দেওয়ার পর গাড়িটিকে ফিটনেস এবং পলিউশন টেস্ট দেওয়াতে হবে।
৬. একবার সেই পরীক্ষায় পাশ করে গেলে গাড়ি আবার ফিরে পাওয়া যাবে।
তবে এটাও মনে রাখা দরকার যে, যাঁদের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সকলেই যে গাড়ি ফেরত পাবেন, এমনটা একেবারেই নয়। কারণ গাড়ি ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ না-ও করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে স্ক্র্যাপ হয়ে যেতে পারে গাড়িটি। তাই রিলিজের আবেদন কিন্তু প্রত্যাখ্যাত হতে পারে।
কেউ যদি চাপের মুখে গাড়ি বিক্রি করে দেন, তাহলে কী হতে পারে?
১. কেউ যদি নিজের গাড়িটিকে দিল্লির বাইরের কোনও ক্রেতার কাছে বিক্রি করে দেন, তাহলে প্রথমে এটিকে ট্র্যাক করতে হবে।
২. বিশদ তথ্য দিয়ে গাড়িটি আবার ক্রয় করার রিক্যুয়েস্ট বা অনুরোধ জানাতে হবে যে, গাড়িটিকে যেন স্ক্র্যাপ কিংবা ডিরেজিস্টার না করা হয়।
৩. এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, নতুন নিয়ম অনুযায়ী দিল্লিতে গাড়িটি রি-রেজিস্টার করা যাবে কি না, সেটাও একবার দেখে নিতে হবে।
যাইহোক, দিল্লির এই জ্বালানি নিষেধাজ্ঞায় পরিবর্তন গাড়ির মালিকদের জন্য একটা আশার আলো নিয়ে এসেছে। অনেকেই ভেবেছিলেন যে, তাঁরা নিজেদের পুরনো গাড়িটিকে আর ফিরে পাবেন না। কিন্তু এখন নিজের সাধের গাড়ি ফিরে পাওয়ার একটা সুযোগ এসে গিয়েছে।