বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর থেকেই দিল্লিতে ফের গুলির শব্দ শোনা যায়। দিল্লির রোহিণীতে পুলিশ একটি বড় এনকাউন্টার চালায়। দিল্লি পুলিশ এবং বিহার পুলিশের যৌথ অভিযানে বিহারের সিগমা গ্যাংয়ের চারজন মোস্ট-ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সিগমা গ্যাং নেতা রঞ্জন পাঠকও রয়েছেন, যিনি বিহারের সীতামারহির বাসিন্দা। সূত্র জানিয়েছে যে দিল্লি পুলিশ এবং বিহার পুলিশের দল তাঁদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য পেয়েছিল।
advertisement
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে, রাজধানীতে দিল্লি পুলিশের অপরাধ শাখা এবং বিহার পুলিশ একটি বড় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এই এনকাউন্টারে বিহারের তিনজন অপরাধী এবং তাদের এক সহযোগী নিহত হন। এনকাউন্টারে বিহারের তিনজন গ্যাংস্টার-সহ মোট চারজন অপরাধী নিহত হন বলে খবর।
২০২৫ সালের ২২ এবং ২৩ অক্টোবর রাতে, আনুমানিক রাত ২:২০ মিনিটে, বিহার পুলিশ এবং দিল্লি পুলিশের অপরাধ শাখার একটি যৌথ দল দিল্লির রোহিণী এলাকার ডক্টর আম্বেদকর চক এবং পানসালি চকের মাঝামাঝি বাহাদুর শাহ মার্গে চারজন সন্দেহভাজন অপরাধীর সঙ্গে লড়াই করে। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ থেকে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। অবশেষে এই চারজন গ্যাংস্টার দিল্লি পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
আরও পড়ুন– ধুলিয়ানের ‘বল মাস্টার’ ! তেল ব্যবসায়ী থেকে এখন সোশ্যাল মিডিয়ার তারকা
এনকাউন্টারের পর সকল অভিযুক্তকে দিল্লির রোহিণীর ডক্টর বিএসএ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা চারজন গ্যাংস্টারকে মৃত ঘোষণা করেন। চার গ্যাংস্টার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, তাঁদের পরিচয় এবং তাঁরা কোথায় থাকতেন তা এখানে রইল।
১. রঞ্জন পাঠক (বয়স ২৫ বছর): পিতা মনোজ পাঠক, মালহাই গ্রামের বাসিন্দা, থানা সুরসান্দ, জেলা সীতামারহি, বিহার।
২. বিমলেশ মাহাতো ওরফে বিমলেশ সাহনি (বয়স ২৫ বছর): বাবা সুখলা দেবী, রতনপুরের বাসিন্দা, থানা বাজপট্টি, জেলা সীতামারহি, বিহার।
৪. মণীশ পাঠক (বয়স ৩৩ বছর): পিতা অরবিন্দ পাঠক, মালাহাই গ্রামের বাসিন্দা, থানা সুরসান্দ, জেলা সীতামারহি, বিহার।
৫. আমান ঠাকুর (বয়স ২১ বছর): পিতা সঞ্জীব ঠাকুর, শেরপুর গ্রামের বাসিন্দা, করাওয়াল নগর, দিল্লি।
অভিযুক্তরা বিহারে বেশ কয়েকটি জঘন্য ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ বর্তমানে অন্যান্য রেকর্ড তদন্ত করছে।